বাংলাদেশ জেলার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেয় যারা
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২০
পাহাড় পর্বতে ঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর আর্মেনিয়া। সেখানকার একটি জেলার নাম শুনলে আপনি রীতিমত চমকে উঠবেন! জেলাটির নাম ‘বাংলাদেশ’। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! কখনো ভেবে দেখেছেন কি?
নিজ দেশের নাম যখন কোনো বিদেশি তার জেলা হিসেবে পরিচয় দেয়! গর্ব হওয়াটাই স্বাভাবিক। অনেকেই জেনে থাকবেন ভারতের কাশ্মীরেও রয়েছে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্থান। তবে সেটি তো পুরনো খবর। এবার তবে জেনে নিন আর্মেনিয়ার বাংলাদেশ সম্পর্কে-
বাংলাদেশ নামের এই জেলার অবস্থান এশিয়ার পশ্চিমে আর্মেনিয়ায়। কৃষ্ণ সাগর ও কাস্পিয়ান সাগরের অন্তরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই দেশটির আয়তন ১৯ হাজার ৮০০ বর্গ কি.মি.। দেশটির রাজধানী ইয়েরেভান। সেখানকার একটি জনবহুল ও জনপ্রিয় জেলা হলো বাংলাদেশ। দেশটির অফিসিয়াল নাম ‘মালাতিয়া সেবাস্তিয়া’ হলেও সেখানকার স্থানীয়রা নিজেদেরকে বাংলাদেশ জেলার বাসিন্দা হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। তবে সেখানকার কোনো বিলবোর্ডে ইংরেজি অক্ষরে লেখা বাংলাদেশ কোথাও চোখে পড়বে না কারো। সবকিছুই লেখা আর্মেনীয় ভাষায়।
এই বাংলাদেশের আয়তন পাঁচ হাজার ১০০ বর্গ কি.মি.। সেখানকার জনসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এদের ৯৯ শতাংশই আর্মেনিয়ান। সেখানকার অধিবাসীরা আর্মেনীয় হলেও তারা বাংলাদেশি নামে পরিচিত। ইয়েরেভানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে তুলনামূলক অনুন্নত এই বাংলাদেশেও রয়েছে সবুজের ছোঁয়া। এই বাংলাদেশে গরমের সময় আবহাওয়া হয় প্রচণ্ড তপ্ত আবার শীতের সময় হাড় কাপিয়ে দেয় সবাইকে। নভেম্বর থেকে মার্চ অব্দি সেখানকার আবহাওয়ার পারদ নেমে যায় হিমাঙ্কের নিচে।
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সম্পর্ক বেশ পুরনো। অষ্টাদশ শতকে আর্মেনিয়ানরা ব্যবসা-বাণিজ্যের লক্ষ্যে ঢাকায় আসতে থাকে। সেসময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লবণের উৎপাদন ও বিতরণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারদের অধিকাংশই ছিলেন আর্মেনিয়ান। সেইসঙ্গে পোশাকশিল্পেও ছিল তার সুনিপুণ দক্ষতা। তারা যেখানে বসতি গেড়েছিলেন সেখানকার নাম হয়ে যায় আর্মানিটোলা। যা পুরান ঢাকায় এখনো বিদ্যমান। এখানে আর্মেনিয়ানদের স্থাপিত চমৎকার একটি গির্জাও রয়েছে। এবার তবে জেনে নিন সেই গির্জাটি সম্পর্কিত কিছু তথ্য-
এই গির্জাটির বয়স আনুমানিক ২০০ বছর। ১৭ থেকে ১৮ খ্রীষ্টাব্দের দিকে এটি স্থাপিত হয় বলে জানা যায়। আর্মেনিয়ারা প্রথম কবে বাংলাদেশে পা রাখেন সে তথ্য জানা নেই কারো। তবে ধারণা করা হয়, যখন পার্সিয়ান শাহ আব্বাস আর্মেনিয়া জয় করে তখন তার নির্দেশে ৪০ হাজার ব্যবসায়ীকে নির্বাসিত করা হয়। সম্ভবত তখনই আর্মেনিয়ানরা বাংলাদেশে পাড়ি জমান। ১৭৮১ সালের দিকে আর্মেনিয়রা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিষ্ঠা করেন ক্যাথলিক চার্চ। যা আর্মেনিয়া চার্চ হিসেবেক পরিচিতি পায়।
সাদা ও হলুদ রঙা এই গির্জাটির উচ্চতা ৭৫ ফিট। এর প্রধান দরবার হলের সক্ষমতা ৮০ জন। সেখানকার দেয়ালের শোভা বাড়াচ্ছে সুন্দর একটি বড় চিত্রকর্ম। এর সঙ্গেই রয়েছে একটি কাঠের সর্পিল সিঁড়ি। যা দিয়ে উপরের বারান্দায় যাওয়া যায়। যেখান থেকে আরো ২০ থেকে ৩০ জন মানুষ অনায়াসেই হলঘরটি দেখতে পারবেন। জানা যায়, চার্চটি যে স্থানে নির্মিত হয়েছে পূর্বে সেটি আর্মেনিয়ানদের কবরস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হত। চার্চটির চারদিকে রয়েছে তারই প্রমাণস্বরূপ অনেক সমাধি। এসব সমাধির গায়ে আর্মেনিয় ভাষায় মৃতদের সম্পর্কে লেখা রয়েছে। যদিও বর্তমানে গির্জাটি সেভাবে ব্যবহৃত হয় না।
আর্মেনিয়া ‘বাংলাদেশ’ যেভাবে পেল...
জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর আর্মেনিয়ার ইয়েরেভানের এই জায়গাটি বাংলাদেশ নামে পরিচিতি পায়। এর পেছনে রয়েছে অন্যরকম এক প্রতিবাদ। আর্মেনিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পাকিস্থান নারাজ ছিল। এরই প্রতিবাদে আর্মেনিয়ার একটি জেলার নাম রাখা হয় বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানাতে তারা এই নামকরণ করে বলেও অনেক ইতিহাসবিদদের মত।
আবার অনেকের অভিমত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান জানিয়েই আর্মেনিয়ানরা তাদের জেলার নাম বাংলাদেশ রাখেন। যদিও এই জেলার নাম এখনো কাগজে কলমে ‘মালাতিয়া সেবাস্তিয়া’। তবে শিগগিরই নাকি এই নাম মুছে যাবে। এর পরিবর্তে বাংলাদেশ করারে বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন আর্মেনিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী।
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- বোদায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেল শিক্ষাবৃত্তি
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভ্রু ম্যাজিক
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’
- এবার ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে