• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিপাকে জমির মালিকরা

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

উখিয়ার কুতুপালং থেকে শফিউল্লাহ কাটা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির। শিবিরগুলোতে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বসবাস। রোহিঙ্গা বসবাস, পাহাড় কাটা, জমিতে বালি পড়া ও আবর্জনার কারণে জমিতে আবাদ হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে জমির মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা বিপাকে পড়েছেন।

রাজাপালং ইউপির মধুরছড়ার আবুল কাশেম জানান, বর্ষাকালে বন বিভাগের পাহাড়ি খাদ, গিরি, ঝিরি অংশের সমতল জমিতে লোকজন আমন ধানের চাষ করতো। এছাড়া যুগ যুগ ধরে শাক সবজি আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতো স্থানীয় মানুষ। দুই বছর ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়ে। পালংখালী ইউপির বালুখালী পান বাজারের দক্ষিণে ১০ একর ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে।

জমির মালিক নুরুল আলম সওদাগর জানান, জমির তিন দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ক্যাম্পগুলোর ময়লা-আবর্জনা, পাহাড় ও টিলা কাটা মাটি ও বালি ধুয়ে ফসলি জমিতে এসে পড়ে। ফলে জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।

দক্ষিণ বালুখালী শিয়াইল্লা পাড়ার ফরিদ আলম জানান, জমিতে চাষা করার পরিবেশ নেই। তারপরও কিছু জমিতে আমন ধান চাষ হতো। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বর্জ্য আসায় ধান পচে যায়।

পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, বর্মা পাড়া বা তাজনিমার খোলা ক্যাম্পে তার মালিকানাধীন তিন একর জমিতে দুই বছর ধরে চাষাবাদ করতে পারছে না।

হেলাল উদ্দিন মেম্বার জানান, জামতলী ও শফি উল্লাহ কাটা ক্যাম্পের কয়েক জনের ৩০ একর জমি রয়েছে। যেখানে দুই ফসলি চাষ করে কৃষকরা জীবিকা নির্বাহ করতো। জমিতে রোহিঙ্গার আবাসস্থল, সেবা কেন্দ্র এবং বেশির ভাগ জমিতে বর্জ্যের কারণে চাষ হচ্ছে না।

উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে শতাধিক একর আবাদি জমি অনাবাদি পড়ে আছে। দরিদ্র কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ ও শাক সবজির ক্ষেত-খামার করতে পারছে না। তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –