• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ আর নেই

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ আর নেই                                  
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আহমেদ আর নেই। রোববার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৪টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি দুই ছেলে রেখে গেছেন। সাহসী এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে রংপুরের সর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদের প্রথম জানাজার নামাজ রংপুর কোট চত্বরে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বেলা ১২টায় এবং বাদ জোহর কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মহানগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ ১৯৬৭ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। পরবর্তীতে ১৯৭০ এর উত্তাল সময়ে তিনি রংপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। তিনি রংপুর মহুকুমা ছাত্রলীগের নেতা থাকা অবস্থায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। 

স্বাধীনতার পরে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে যুবলীগ গঠন হলে তিনি রংপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিভিন্ন মামলায় নির্যাতনের শিকার হন। ওই সময়ে তিনি যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে এসে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার কিছুদিন পর ১৯৮৪ সালে দল ভাঙনের কবলে পরলে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রায় দুই দশক সংগঠককে আগলে রাখেন। ২০১১ সালের পর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সাফি জানান, রংপুরের রাজনীতির আকাশে আরও একটি নক্ষত্র হারালাম। অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আহমেদের সময় অনেক নেতা দলবদল করে অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়ে অনেক পদ গ্রহণ করলেও তিনি আমৃত্যু একজন মুজিব সৈনিক হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এ প্রজন্মের রাজনীতি চর্চাকারীদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু জানান, তিনি আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তিনি রাজনীতির ক্রান্তিকালে সবসময় পাশে থেকেছেন। তাকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল জানান, আমরা রাজনীতির একজন অভিভাবক হারালাম। তার শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার মতো নয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –