• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বুড়ি তিস্তা প্রাণ ফিরে পাক,তিস্তা পাড়ের মানুষ স্রোতে ভেসে যাক

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

নীলফামারী রংপুর হয়ে তিস্তা নদী ভাটির টানে ব্রহ্মপুত্রে গিয়ে মিশে গেছে।এক সময় রংপুরের কাউনিয়া তিস্তা সেতু পয়েন্ট থেকে ২ কিলোমিটার ভাটিতে তা পশ্চিম-দক্ষিণ অভিমুখী হয়ে পূর্ব দিকে গিয়ে রাজারহাট ও উলিপুর শহরের কেন্দ্রস্থল ছুয়ে প্রবাহিত হতো।কালের পরিক্রমায় ১৯৮৮ সালের বন্যার পর নদী তার গতি পরিবর্তন করে।(সেখানে একটি সুইচগেট নির্মান করা হয়,ফলে যদিও তিস্তার এই অংশটা দিয়ে পানি আসার সুযোগ যতটুকু ছিল তা বন্ধ হয়ে যায়)।রাজারহাট নাজিমখান ইউনিয়নের পশ্চিম দিক দিয়ে উলিপুর উপজেলার পশ্চিম দিক দিয়ে চিলমারি সুন্দরগঞ্জ হয়ে ব্রহ্মপুত্রে মিশে যায়।ফলে পূর্বে উলিপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে যে তিস্তা প্রবাহিত হয়েছিল তার মুখ বন্ধ হয়ে যায় আশে পাশের জমির মালিকগণ তাদের জমির সীমানা সংলগ্ন নদী ভরাট করে দখল নেয়।অবশিষ্ট যা পরে থাকে তাই হলো বুড়ি তিস্তা।
এই হলো মোটামুটি বুড়ি তিস্তার ইতিহাস।
এখন শিরোনামে আসা যাক।বুড়ি তিস্তা বাচাও আন্দোলনে উলিপুরে সরব হয়েছে এক ঝাক মানুষ,সফলতার দোরগোড়ায় তাদের আন্দোলন।আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা চাই আমার বাসার পাশে একটি নদী থাকুক বিকাল বেলা নদীর পাড়ে গিয়ে বসবো।নদীতে পাল তোলা নৌকা যাবে ছবি উঠাবো,ভাটিয়ালি গান শুনবো।এগুলো আমাদের সখ।কিন্তু নদীপাড়ের মানুষ চায় নদীটি শুকিয়ে যাক,এই দিক থেকে গতি পরিবর্তন করে অন্য দিকে যাক।কারণ কি??
কারণ আমাদের দেশে নদী আছে কিন্তু নদী ব্যবস্থাপনা নাই।
কুড়িগ্রামের চিলমারিতে যে নদি বন্দর রয়েছে তার সঠিক নদী ব্যবস্থাপনার অভাবে সেটি আমাদের সম্পদ হয়ে উঠেনি।যে ব্রহ্মপুত্র আমাদের সম্পদ হতে পারতো সেই ব্রহ্মপুত্র কোথাও কোথাও মানুষের সর্বনাশের কারণ হয়ে আছে।
তিস্তা নদীর কথাই আসা যাক,থাত্রারাই নদী ভাংগণ রোধে জনগণের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক রাজারহাট উপজেলায় গত বছরে প্রায় ৪৫০ পরিবার তিস্তা নদীর ভাংগনে নিঃস হয়েছে।উলিপুর উপজেলায় তিস্তার ভাংগনের চিত্র মিডিয়ায় আমরা সকলে দেখেছি। কি পেয়েছি এই তিস্তা নদী থেকে??
দিনে দিনে গরীব থেকে আমাদের গরীব করেছে। এখন যদি আমরা এই বুড়ি তিস্তা নদীর প্রাণ ফিরে এনে দেই সেটা আমাদের শহরের সখের মানুষের জন্য ভাল হলেও বুড়ি তিস্তার আশেপাশে যারা বসবাস করে তাদের জন্য এই নদী কতটা উপকারি কতটা নিরাপদ সেটা গবেষণার বিষয়।
সঠিক নদী ব্যবস্থাপনা ছাড়া এই সকল মরে যাওয়া নদীর প্রাণ ফিরে আনলে খাল কেটে কুমির নিয়ে আসা ছাড়া আর কোন সুবুদ্ধিসম্পন্ন কাজ হবে বলে আমি মনে করি না।
আমি ও আমরা চাই বুড়ি তিস্তা প্রাণ ফিরে পাক।কিন্তু তিস্তাপারের মানুষের ভবিষ্যত চিন্তা মাথায় রেখেই।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –