বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বর্ষাবাস
প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২০
সোমবার সকাল থেকে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় আর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আষাঢ়ী পূর্ণিমা শুরু হয়েছে। আষাঢ়ী পুর্ণিমা থেকে শুরু করে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন করবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এসময় সংযম পালনের মধ্য দিয়ে ন্যায়, সৎ পথ চলা, বুদ্ধের জীবনানুসরণ ও পরোপকার এর মধ্য দিয়ে তিন মাস অতিক্রম করবে প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পরিবার।
বর্ষাবাস-
বর্ষাবাস। বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘের আত্মবিশ্লেষণাত্মক এবং অধিষ্ঠানমূলক শিক্ষাব্রতবিশেষ। এ সময় ভিক্ষুরা বিধিবদ্ধ শিক্ষা ও একান্ত ধ্যান-সমাধির চর্চা করেন। এ ব্রত জীবনকে সত্যিকার মুক্তির পথে নিয়ে যায়।
বুদ্ধের সময় থেকেই এ ব্রত পালিত হয়ে আসছে। বুদ্ধদেব স্বয়ং রাজগৃহে অবস্থানকালে ভিক্ষুসংঘের জন্য এই বর্ষাবাস বিধান প্রবর্তন করেন। বর্ষাবাস পালনের উদ্দেশ্য তৃণ-গুল্মাদির জীবন রক্ষা করা। বর্ষায় জলসিক্ত ও কর্দমাক্ত পথে ভ্রমণকালে জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে সবুজ তৃণ, চারাগাছ এবং ক্ষুদ্র প্রাণী পদদলিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তাই বুদ্ধদেব এ সময়ে সর্বাধিক পরিভ্রমণ ত্যাগ করে নিজ নিজ বিহারে অবস্থানপূর্বক অনুশীলনমূলক ধর্মীয় বিষয়াদি (শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞা) চর্চা করার বিধান দিয়েছেন।
তিনি নিজেই আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা এই তিন মাস বর্ষাবাসের সময় নির্ধারণ করেন। তবে কোনো ভিক্ষু অসুস্থতার কারণে আষাঢ়ী পূর্ণিমায় বর্ষাবাস অধিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তিনি মধুপূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) থেকে কার্তিক পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন করতে পারেন।
বর্ষাবাস যাপনকালে ভিক্ষুগণ প্রতিটি অষ্টমী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে প্রাতিমোক্ষ আবৃত্তি, আপত্তি দেশনাসহ নানাবিধ বিনয়ভিত্তিক কর্ম সম্পাদন করেন। এ সময় তাঁরা প্রতিটি উপসথ দিবসে গৃহীদের কাছেও ধর্মদেশনা করেন এবং গৃহীদের শীলাদি প্রদানসহ ধর্মীয় জীবনাচারে উপদেশনা প্রদান করেন।
প্রত্যেক ভিক্ষুকেই বর্ষাবাস পালন করতে হয়, না করলে ‘দুক্কট’ অপরাধ হয়। বর্ষাবাস পালনের সঙ্গে অধিষ্ঠানব্রত, অর্থাৎ ধ্যান, সমাধি ও বিদ্যাভ্যাসের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হয়। বর্ষাবাসকালীন ভিক্ষুসংঘের পাশাপাশি বৌদ্ধ গৃহী বা উপাসক-ঔপাসিকারাও প্রতিটি উপসথ তিথিতে অষ্টশীল বা উপসথ শীল পালন করে অধিষ্ঠান ব্রত যাপন করেন এবং শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞার অনুশীলন করেন।
বর্ষাবাস, প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান এই তিনটি উৎসব পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বর্ষাব্রত পালন না করলে কোনো ভিক্ষু কঠিন চীবর গ্রহণ করতে পারেন না, আবার কঠিন চীবর গ্রহণ করতে না পারলে ভিক্ষুবিনয় অনুসারে ভিক্ষুগণ বহুবিধ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
বর্ষাবাস পালনের অন্য একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তা হলো এই বর্ষাব্রত গণনা করেই ভিক্ষুজীবনের বয়স নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ নির্ধারিত হয়।
বর্ষাবাস পালনের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান প্রয়োজন। যেখানে উপযুক্ত দায়ক বর্তমান এবং যেখানে পড়াশোনা ও ধ্যানাভ্যাসের যথাযথ সুবিধা রয়েছে, এমন একটি স্থানই বর্ষাবাসের জন্য উপযুক্ত। বুদ্ধের সময় প্রাচীন ভারতের গয়া, উরুবেলা, রাজগৃহ, নালন্দা, পাটলিপুত্র, একনালা, শ্রাবস্তী, সাকেত, উজ্জয়িনী প্রভৃতি স্থান বর্ষাবাস যাপনের জন্য খুবই উপযোগী ছিল। বর্ষাবাসের সময় গুহাবাসের মধ্যে গৃধ্রকূট, চোরপ্রপাত, ইসিলি, সপ্তপর্ণী, সীতবন, সপ্পসোন্ডিক পভার ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- ৭ বছর ধরে নিজ বাড়িতে শিকলে বন্দী নুর
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- বিশ্ব নাট্য দিবসে পঞ্চগড়ে সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে’
- রাবি ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বিএনপি
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হৃদয়
- আলোচনার মাধ্যমে ১১৭ বিজিপিকে ফেরানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ
- পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশকে আইজিপির নির্দেশ
- নতুন দামে সয়াবিন তেল মিলবে যেদিন থেকে
- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ সরকারের
- এমআরটি-১ প্রকল্প বাস্তবায়নে পাতাল রেল যুগে পৌঁছাবে দেশ
- সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন: ডা. দীপু মনি
- মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে ব্লাড সুগার? জেনে নিন কারণ
- চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ থেকে অফিস-আদালত-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
- পীরগঞ্জে দুই কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন