• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মুজিববর্ষে ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি তৈরি করে দিবে সরকার

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

মুজিববর্ষে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহনির্মাণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। যার বাজেট ধরা হয়েছে ২৪শ’ কোটি টাকা। এই টাকায় মুজিববর্ষে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আগামী ১৭ মার্চ বাঙালি জাতির গৌরব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এই উপলক্ষে সারাদেশে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরি করে দেবে সরকার। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪শ’ কোটি টাকা।

যেসব অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের নিজ নিজ উপজেলার ইউএনও মাধ্যমে এই বাড়ির জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই আবেদনের মূল কার্যক্রম চালু হবে। যারা আবেদন করবে তাদের পরিচয় যাচাই বাচাই করে কাগজপত্র মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। সেখান থেকে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধার নামে চেক বরাদ্দ দেয়া হবে। এই বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র মাধ্যমে তাদের বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। যাদের জমি নেই বা ভূমিহীন তাদের খাসজমিতে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। এই পুনর্বাসন করার উদ্দেশ্য মুজিববর্ষে কেউ যেন অসহায় না থাকে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালকে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। এই মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে পুনর্বাসন বা বাড়ি তৈরি করে দেবে সরকার। এই কার্যক্রম আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করার জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ২৪শ’ কোটি টাকা।

মন্ত্রী আরো বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সকল কর্মকর্তা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বাড়ির ডিজাইন এরইমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যারা সংগ্রাম লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছেন তাদেরকে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে উপহার হিসেবে এসব বাড়ি দেয়া হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরো আগেই অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধার দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। তারা যেন সকল উপজেলা সরকারি হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের তাৎক্ষণিক বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারে এজন্য জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –