• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মেয়াদ শেষের আগেই ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার শঙ্কায় ট্রাম্প

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২১  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ দুই সপ্তাহেরও কম অবশিষ্ট রয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনে তার ইন্ধনে উগ্র সমর্থকদের হামলার ঘটনা চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে।

যদিও জো বাইডেনের হাতে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে দিয়েছেন ট্রাম্প। তার পরেও পার্লামেন্ট ভবনে তার সমর্থকদের হামলার দায় এড়াতে পারছেন না তিনি।

ট্রাম্প অবশ্য দেরিতে হলেও এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ওই হামলা তার পছন্দ হয়নি। বরং একে জঘন্য আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভোটের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা।

ওই ভিডিওতে তিনি আরো বলেন, এখন কংগ্রেস ফল অনুমোদন দিয়েছে। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে। ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে, সুশৃঙ্খলভাবে এবং নির্বিঘ্নে হস্তান্তর করার দিকে আমার নজর থাকবে।

ট্রাম্প আরো বলেন, আমাদের দেশের জনগণের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনে সবচেয়ে বড় সম্মানের।

তবে ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করার পরিবর্তে দেশের পার্লামেন্টে মারাত্মক সহিংসতার জন্ম দেওয়ায় তাকে পদচ্যুত করার আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা লঙ্ঘন করে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকে এবং সমর্থকদের মাধ্যমে সহিংসতার জন্ম দিয়ে ট্রাম্প কালো এক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছেন।

গত বুধবারের সেই সহিংসতা শুধু ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় সীমাবদ্ধ ছিল না। ট্রাম্পের উসকানিতে তার সমর্থকরা পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়ে বসে। এতে বাইডেনকে স্বীকৃতিদানের আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করে দিতে বাধ্য হন কংগ্রেস সদস্যরা। 

এমন অবস্থায়ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা রাখেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার জায়গায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এছাড়া  ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত ট্রাম্প আরো কত ধরনের কাণ্ড ঘটাবেন, সেই আশঙ্কা সরকারি কর্মকর্তাদের ঘিরে রেখেছে। 

এজন্য মার্কিন রাজনীতিবিদরা আগেভাগেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। গত বুধবারের সহিংসতার পর ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও করেছেন, বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

প্রেসিডেন্সির শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে পদচ্যুত করা মার্কিন গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই জরুরি বলে মনে করেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য ক্যাথলিন রাইস টুইট করেন, মন্ত্রিসভাকে অবশ্যই ২৫ নম্বর অধ্যাদেশ আহ্বান করতে হবে। এছাড়া নিক ক্রিস্টেনসেন টুইট করে বলেছেন, হয় ২৫ নম্বর অধ্যাদেশ আহ্বান করতে হবে অন্যথায় ইমপিচমেন্ট জরুরি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –