• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

যে আয়াতগুলো হৃদয়ে প্রশান্তি আনে

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  

কত অশান্তির মাঝে থাকি আমরা। অশান্তির শেষ নেই। হৃদয়ের অশান্তি। পারিবারিক অশান্তি। সামাজিক অশান্তি। পৃথিবীর সবাই শান্তি খুঁজে। কিন্তু শান্তি কোথায় কেউ জানে না। আল্লাহ তায়ালা শান্তি রেখেছেন এক মাত্র ইবাদত ও আল্লাহর বিধান মানার মধ্যেই। শান্তি কিভাবে পাবো আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারীমেই বলে দিচ্ছেন। ইরশাদ হচ্ছে।

(১) ‘তাদেরকে তাদের নবী আরও বলল, তালূতের বাদশাহীর আলামত এই যে, তোমাদের কাছে সেই সিন্দুক (ফিরে) আসবে, যার ভেতর তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে প্রশান্তির উপকরণ এবং মূসা ও হারুন যা-কিছু রেখে গেছে তার কিছু অবশেষ রয়েছে। ফিরিশতাগণ সেটি বয়ে আনবে। তোমরা মুমিন হয়ে থাকলে, তার মধ্যে তোমাদের জন্যে অনেক বড় নিদর্শন রয়েছে।’ (সূরা বাকারা : ২৪৮)।

(২) ‘অতঃপর আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তাঁর রাসূল ও মুমিনদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং এমন এক বাহিনী অবতীর্ণ করলেন, যা তোমরা দেখতে পাওনি। আর যারা কুফর অবলম্বন করেছিল, আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিলেন। আর এটাই কাফিরদের কর্মফল (সূরা তাওবা : ২৬)।

(৩) ‘তোমরা যদি তার (নবীর) সাহায্য না কর, তবে (তাতে তাঁর কোনও ক্ষতি নেই। কেননা) আল্লাহ তো সেই সময়ও তার সাহায্য করেছিলেন, যখন তারা কাফেরগণ তাকে (মক্কা থেকে) বরে করে দিয়েছিল এবং তখন সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, তখন সে তার সঙ্গীকে বলেছিল, চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন। সুতরাং আল্লাহ তার প্রতি নিজের পক্ষ থেকে প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং এমন বাহিনী দ্বারা তার সাহায্য করলেন, যা তোমরা দেখনি এবং কাফেরদের কথাকে হেয় করে দিলেন। বস্তুত আল্লাহর কথাই সমুচ্চ। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা তাওবা : ৪০)।

(৪) ‘তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তাদের ঈমানে অধিকতর ঈমান যুক্ত হয়। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা ফাতহ : ৪)।

(৫) নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের প্রতি খুশি হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বায়আত গ্রহণ করেছিল। তাদের অন্তরে যা-কিছু ছিল সে সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন। তাই তিনি তাদের ওপর অবতীর্ণ করলেন প্রশান্তি এবং পুরস্কারস্বরূপ তাদেরকে দান করলেন আসন্ন বিজয়।’ (সূরা ফাতহ : ১৮)।

(৬) ‘কাফেরগণ যখন তাদের অহমিকাকে স্থান দিল, যা ছিল জাহেলী যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ তাঁর রাসূল ও মুসলিমদের উপর নিজ প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং তাদেরকে তাকওয়ার বিষয়ে স্থিত করে রাখলেন আর তারা তো এরই বেশি হকদার ও এর উপযুক্ত ছিল। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।’ (সূরা ফাতহ : ২৬)

এই আয়াতগুলো হৃদয় আত্মা মনে শান্তি আর প্রশান্তি আনয়নের ঔষধ। বার বার পড়েই দেখেন আসে কী না শান্তি হৃদয়ে আত্মায়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –