• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রমজানে দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছু করা জায়েজ

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২২  

প্রশ্ন: রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ?
উত্তর: স্বামীর জন্য সহবাস ব্যতীত বা বীর্যপাত ব্যতীত নিজের স্ত্রীকে উপভোগ করা জায়েজ আছে।
 
ইমাম বুখারি (১৯২৭) ও মুসলিম (১১০৬) আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা রেখে স্ত্রীকে চুম্বন করতেন; স্ত্রীর সঙ্গে মুবাশারা (আলিঙ্গন) করতেন। এবং তিনি ছিলেন তার যৌনাকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি।

শাইখ উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, রোজাদার স্বামীর জন্য রোজাদার স্ত্রীর সাথে কি কি করা জায়েজ?

উত্তরে তিনি বলেন, ফরজ রোজা পালনকারী স্বামীর জন্য তার স্ত্রীর সঙ্গে এমন কিছু করা জায়েজ হবে না; যাতে করে তার বীর্যপাত হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সব মানুষ এক রকম নয়। কারো বীর্যপাত দ্রুত হয়ে যায়; আবার কারো ধীরে ধীরে হয় এবং সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা রাখে। যেমনটি আয়েশা (রা.) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনি ছিলেন স্বীয় যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি।

আবার কিছু লোক আছে যারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না; তার বীর্যপাত দ্রুত হয়ে যায়। এমন ব্যক্তি ফরজ রোজা পালনকালে তার স্ত্রীকে চুম্বন করা, আলিঙ্গন করা ইত্যাদির মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হওয়া থেকে তাকে সাবধান থাকতে হবে। আর যদি ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে জানে যে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তাহলে তার জন্য স্ত্রীকে চুম্বন করা ও জড়িয়ে ধরা জায়েজ আছে; এমনকি ফরজ রোজার মধ্যেও। তবে, সাবধান! সহবাসের ব্যাপারে সাবধান!

রমজান মাসে যার ওপর রোজা রাখা ফরজ, সে যদি সহবাসে লিপ্ত হয় তাহলে তার ওপর পাঁচটি বিষয় অবধারিত হবে-

এক: গুনাহ।

দুই: রোজা ভেঙ্গে যাওয়া।

তিন: দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা ফরজ। যে কোনো ব্যক্তি কোন শরয়ি ওজর ছাড়া রমজানের রোজা ভঙ্গ করবে তার উপর বিরত থাকা ও সেদিনের রোজা কাযা করা ফরজ।

চার: সেদিনের রোজা কাযা করা ফরজ। কারণ সে ব্যক্তি একটি ফরজ ইবাদত নষ্ট করেছে; যার কারণ তার উপর এ ইবাদত কাযা করা ফরজ।

পাঁচ: কাফফারা দেওয়া। এ কাফফারা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাফফারা: একজন কৃতদাস আজাদ করা। কৃতদাস না পেলে লাগাতর দুইমাস রোজা রাখা। সেটাও করতে না পারলে ষাটজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো।

আর যদি রোজাটি ফরজ রোজা হয় তবে রমজান ছাড়া অন্য কোন মাসে; যেমন যে ব্যক্তি রমজানের কাজা রোজা পালন করছে; এমন রোজা ভঙ্গ করলে দুইটি বিষয় অবধারিত হবে: গুনাহ ও রোজাটি কাযা করা। আর যদি রোজাটি নফল রোজা হয় তাহলে কোনো কিছু আবশ্যক হবে না।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –