• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

শাওয়ালের ৬ রোজা তিনটি বিশেষ ইবাদত করার সুযোগ দেয়

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২১  

পবিত্র রমাজানের পরবর্তী মাস এবং চন্দ্র মাসের দশম মাস হচ্ছে শাওয়াল মাস। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যক্তি যাতে শুধু মাহে রমাজানের ফরজ রোজা রেখে থেমে না যান, বরং তিনি কীভাবে সহজেই পূর্ণ বছরটা মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা ও ভালোবাসার পাত্র হয়ে থাকতে পারেন এবং কী করে চিরস্থায়ী জান্নাতের বাসিন্দা হতে পারেন এবং পরকালে তিনি কীভাবে সফলকাম থাকতে পারেন প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মতের সামনে এই পথ সুস্পষ্ট করে দিয়ে গেছেন।

শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোজা পালন সারা বছর রোজার সওয়াব প্রাপ্তির এমনি একটি পরম সুযোগ এনে দেয়। সেই সঙ্গে আরো একটি বিশেষ ইবাদতের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। আর তা হলো একই সঙ্গে শাওয়ালের ৬টি সিয়ামের সঙ্গে সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম পালন করতে পারছেন। 

২ জুন (২০ শাওয়াল) থেকে ৭ জুন (২৫ শাওয়াল) = ৬ দিন, শাওয়ালের ৬ রোজা।
৩ জুন (বৃহস্পতিবার, ২১ শাওয়াল) ও ৭ জুন (সোমবার, ২৫ শাওয়াল) = বৃহস্পতিবার ও সোমবারের (সাপ্তাহিক) রোজা।
উল্লেখ্য, নফল দিয়ে কাযা বা কাযা দিয়ে নফল আদায় হবে না।

শাওয়াল মাসের ৬ রোজা
২ জুন (২০ শাওয়াল) থেকে ৭ জুন (২৫ শাওয়াল) = ৬ দিন। শাওয়ালের ৬ রোজা।
ইবাদতের জগতে সলাতের পড়েই সিয়ামের গুরুত্ব। সব ইবাদতের জন্য সওয়াব নির্দিষ্ট। একমাত্র সিয়ামের সওয়াব ‘আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা’ নিজে দেবেন।

রমজানের সিয়াম শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সামনে শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়ামের মাধ্যমে সারা বছর সিয়াম পালনের সুযোগ এসেছে। এ বিষয়ে বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

আবু আইয়ুব (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে- রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের সিয়াম রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম রাখল সে যেন গোটা বছর সিয়াম রাখল।’ (সহিহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ী ও সুনানে ইবনে মাজাহ)

শাওয়ালের ৬ সিয়াম ধারাবাহিকভাবে অথবা বিরতি দিয়েও রাখা যাবে। কারো যদি রমাজানের সিয়াম কাযা হয়ে থাকে, তবে প্রথমে তা আদায় করে নেবে- এটা উত্তম। সম্ভব না হলে শাওয়ালের রোজা রাখবে, পরে কাজা আদায় করবে। যারা পবিত্র রমজানের যথাযথ কদর করেননি তাদের উচিত এখনই আল্লাহ তালার কাছে তওবা-ইস্তেগফার করে তার রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়া।

বৃহস্পতিবার ও সোমবারের সাপ্তাহিক রোজা
৩ জুন (বৃহস্পতিবার, ২১ শাওয়াল) ও ৭ জুন (সোমবার, ২৫ শাওয়াল) = বৃহস্পতিবার ও সোমবারের সিয়াম। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার সিয়াম পালন করতেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নম্বর ২৩৬৩)

আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমার আমলসমূহ যেন সিয়াম পালনরত অবস্থায় পেশ করা হোক এটাই আমার পছন্দনীয়। (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নম্বর ৭৪৭)

যারা শাওয়ালের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ রোজা রাখবেন তারা আইয়্যামে বিদের রোজা রাখার সুন্নত পালন করতে পারছেন। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মুলিম উম্মাকে শাওয়ালের ৬ রোজার সঙ্গে সঙ্গে সোম ও বৃহস্পতিবার রোজগুলো রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –