• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সহকারী শিক্ষক পদে ৮ লাখ টাকা লেনদেন, মৌখিক পরীক্ষায় ধরা

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২  

পঞ্চগড়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ললিত মোহন রায় (২৬) নামের এক পরীক্ষার্থী। পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিলে জানা যায় প্রক্সি দিয়ে তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। নিজে বিষয়টি স্বীকার করায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বোদা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পরীক্ষার্থী ললিত মোহন বোদা উপজেলার পাচঁপীর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিবাড়ি এলাকার কামিনী রায়ের ছেলে। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব গোয়াল পাড়ায়।

মামলায় রিয়াজুল ইসলাম (৩২) নামের আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চন্ডীপুর এলাকায়। তিনি এলিট সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।

পুলিশ ও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বোদা উপজেলার পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার্থী ললিত মোহন রায়ের লিখিত পরীক্ষার খাতায় লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি চাকরির জন্য একটি চক্রকে আট লাখ টাকা দেওয়া এবং প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

এ সময় তিনি চাকরির জন্য বোদা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা এবং রিয়াজুল ইসলাম নামের আরেকজনকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন বলেও জানান। পরে বোদা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় এবং দুজনকেই পুলিশের হাতে সোর্পদ করে নিয়োগ বোর্ড।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার বলেন, গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এরআগে গত ৫ জুলাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আটোয়ারী উপজেলার পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় জালিয়াতির অভিযোগে মকসেদুর রহমান (২৮) ও আহসান হাবিব (২৮) নামের দুই পরীক্ষার্থী এবং জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেলাল উদ্দিন (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ৪ আগস্ট একই অভিযোগে সদর উপজেলার ধাক্কামারা লাঙ্গলগাঁও এলাকার স্বপন সেন (২৯) নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –