• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছুঁতে পারেনি যাকে

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২১  

বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের রাজনীতির সাধনার মূলে অন্যতম আদর্শ ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ।  ব্যক্তিমানুষ হিসেবে তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলেও সব ধর্মের মানুষের প্রতি ছিল সমান ভালোবাসা। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় বঙ্গবন্ধু দাঙ্গাপীড়িত এলাকায় গিয়ে কাজ করেছেন, হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। পাকিস্তাান আন্দোলন করলেও তিনি কখনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেন নি। বর্তমান বাংলাদেশেও অসাম্প্রদায়িক চেতনা তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লালনের বিকল্প নেই। পরে সদ্য সৃষ্ট পাকিস্তাান থেকে সাম্প্রদায়িক সমস্যার কারণে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর লোকেরা যখন দেশত্যাগ শুরু করে তখন বঙ্গবন্ধুর চেষ্টা ছিল যাতে তারা দেশত্যাগ না করে। এজন্য বঙ্গবন্ধু ‘গণতান্ত্রিক যুবলীগ’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার ‘অসমাপ্ত  আত্মজীবনীতে’ তিনি বলেছেন, ‘আমি বললাম, এর (গণতান্ত্রিক যুবলীগের) কর্মসূচি হবে সাম্প্রদায়িক মিলনের চেষ্টা করা, যাতে কোনো দাঙ্গাহাঙ্গামা না হয়, হিন্দুরা দেশ ত্যাগ না করে- যাকে ইংরেজিতে বলে ‘কমিউনাল হারমনি’ তার জন্য চেষ্টা করা। অনেকেই এই মত সমর্থন করলৃ।'(অসমাপ্ত আত্মজীবনী-পৃষ্ঠা ৮৫)। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে ধর্মকে রাজনীতি হতে দূরে রেখে অসা¤প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রবাদ পুরুষ
বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের আলোকে উদ্ভাসিত। বঙ্গবন্ধু তার ৭ই মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা আজ পর্যন্ত আর কোন নেতা পারেননি। তিনি ৭ মার্চের ভাষণে সুসাপষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, তারা বাঁচতে চায়। তারা অধিকার পেতে চায়।’ যখনই বাঙালিদের ওপর কোনো আঘাত এসেছে তখনই তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। রাজনৈতিক নেতা থেকে বঙ্গবন্ধু, পরবর্তীকালে জাতির জনকে পরিণত হয়েছেন। তার পুরোটা জীবন কেটেছে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে প্রতিষ্ঠা করার লড়াইয়ে। তিনি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা এবং জাতীয়তাবাদের আলোয় উদ্ভাসিত একজন রাষ্ট্রনায়ক। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের দর্শনে আস্থাশীল রাজনৈতিক দল মুসলীম লীগের কর্মী হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল হয়ে উঠেছিলেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –