• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

স্বপ্ন দেখার আগেই কি থেমে যাবে শিশু হামজা?

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

বাবা জুলহাস ও মা হামিজা খাতুনের কোল জুড়ে আসে দ্বিতীয় সন্তান আমির হামজা। বয়স সবে আড়াই বছর। বিধাতার লীলাখেলায় এ বয়সেই শিশুটি কঠিন ব্যধিতে আক্রান্ত। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে অস্থিরতায় মধ্যে তার দিন কাটছে। মুখ খুলে বলতে পারছে না তার যন্ত্রণার কথা। শ্বাসকষ্ট আর হাঁপানিতে জীবন যেন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।

অথচ এ বয়সে আমির হামজার থাকার কথা ছিল বা-মা, ভাই-বোন ও প্রতিবেশীদের কোলে কোলে। হেসে-খেলে আলোকিত করার কথা ভুবন। হামাগুড়ি দিয়ে দাপিয়ে বেড়ানোর কথা ছিল বাড়ির আঙিনার এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।

আমির হামজার বাবা মো. জুলহাস জানান, জন্মের আট মাস পর থেকে হামজার মধ্যে প্রাণ চাঞ্চলতা হারাতে শুরু করে। সারাক্ষণ শুধু কান্না আর অস্থিরতা। এক পর্যায়ে হাঁপানিভাব লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে। এমন অবস্থা দেখা দিলে ময়মনসিংহের চরপাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখানো হয় তাকে।

সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, হামজার হার্ট ব্লক হয়ে আছে। একই সঙ্গে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

পেশায় রাজমিস্ত্রি বাবা জুলহাস ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর হার্ড ফাউন্ডেশনে আসেন। সেখানকার চিকিৎসকরা হামজাকে দেখার পর তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরইমধ্যে হামজার চিকিৎসায় সামর্থ্যের সবটুকু শেষ করে ফেলেছেন বাবা জুলহাস।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হামজাকে যতদ্রুত সম্ভব দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। তার এ চিকিৎসায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু দিনমজুর বাবা জুলহাসের ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। তাই ছেলের এমন অসুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

ময়মনসিংহ সদরের পরানগঞ্জ ইউনিয়নের চর বউলা গ্রামে ছোট্ট এ শিশুটির এমন অসুখে ব্যথিত এলাকার মানুষও। বাবা জুলহাস ও মা হামিজা খাতুনের দুই ছেলের মধ্যে ছোট আমির হামজা। ছেলেকে বাঁচাতে তারা দুজনই জেলা-উপজেলার বিভিন্ন বিত্তবান মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ছেলেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সামান্য পরিমাণ টাকাও এখনো জোগাড় হয়নি।

ছেলেকে বাঁচাতে আমির হামজার বাবা-মা সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে হাত বাড়িয়েছেন। অসহায় বাবা-মায়ের আদরের ধনকে বাঁচাতে আপনারা কি এগিয়ে আসবেন না?

আমির হামজার চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা ও যোগাযোগঃ

পিতা মো. জুলহাস

হিসাব নম্বর : ০৩৮৬৬২৬, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ময়মনসিংহ সদর

মোবাইল ব্যাংকিং:০১৯৮৯২৮৩৩০৫০ (রকেট), ০১৯৮৯২৮৩৩০৫ (বিকাশ ও নগদ)।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –