• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাবান্ধায় প্রবেশ করছে চালক-হেলপার!

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দেশের উত্তর জনপদের জেলা পঞ্চগড়। সীমান্ত এই জেলায় একমাত্র স্থলবন্দর তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা। ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে ফেরৎ পাসপোর্ট,  ট্রাক ও হেলপার যাত্রীদের জন্য করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে মেডিকেল টিম বসানোর পরেও উৎকন্ঠায় ও আতঙ্কে বসবাস করছে স্থানীয় এলাকাবাসীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও হেলপার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করছে বাংলাবান্ধা স্থন্দরে। 

এদিকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে খবর ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরো জেলায়। পরীক্ষা ছাড়াই ট্রাক চালক ও হেলপারদের মাধ্যমে যে কোনো সময় এই বন্দরে দিয়ে প্রবেশ করতে পারে করোনাভাইরাস।

স্থানীয় এলাকাবাসী হাসান ও কবির হোসেন জানান, পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও হেলপার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই সীমান্তের নিকটবর্তী হোটেল ও দোকানগুলোতে খাবার খেয়ে থাকে। অবাদে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে চলাফেরা করে থাকেন। এতে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে করোনাভাইরাস। তারা মনে করেন চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করলে আতঙ্ক কাটবে না।

চীনে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় রোগ প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশনের মত তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উন্নত মানের যন্ত্রপাতি না থাকায় শুধু মাত্র হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রাথমিকভাবে পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

২৮ জানুয়ারি পঞ্চগড় সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য বিভাগ বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের একটি কক্ষে মেডিকেল টিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্ক্যানার না থাকায় ১১ দিন ধরে দুইটি থার্মোমিটার দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ৭ ফেব্রয়ারি থেকে নতুন করে মিনি হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে চলছে মেডিকেল ক্যাম্পের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম।

মেডিক্যাল ক্যাম্পের স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক মো. আজিজার রহমান ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, সব পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছি। যাত্রীদের মধ্যে জ্বর বা সর্দি এমন কিছু দেখা দিলে তাৎক্ষণিক রেফার্ড করা হবে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে। তবে এখন পর্যন্ত রোগী সনাক্ত হয় নাই।

ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানান, প্রতিদিন যেসব পাসপোর্টধারী যাত্রী প্রবেশ করছে তাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালনা শেষ করছি। তবে ভারত, নেপাল থেকে ট্রাক চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে কিনা জানি না।

এদিকে পঞ্চগড় আমদানি-রফতানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা জানান, ট্রাক চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার করলে আমরাও সহযোগীতা করবো।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানার দেয়া হয়েছে। আমরা শুধু প্রাথমিক ভাবে জ্বর ও সর্দির রোগী দেখছি। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে কিনা সেই বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –