• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

হাবিপ্রবি`র ভর্তি পরীক্ষায় নকলের দায়ে এক শিক্ষার্থী আটক

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

নকলের দায়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় একজনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ডি ইউনিটের ৩য় শিফটের পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে ড. এম. এ ওয়াজেদ ভবনের ৪০৩নং রুম থেকে ওই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

আটককৃত পরীক্ষার্থীর নাম মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল। ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ৪১৯৩৭৯।

আটককৃত শাকিলের কক্ষের একাধিক ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী জানান, পরীক্ষার ১০-১৫ মিনিট আগে একজন এসে ওই শিক্ষার্থীকে দাগ দেওয়া একটি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে। প্রশ্নপত্রটি পেয়ে ওই শিক্ষার্থী নিজের প্রশ্নপত্রটি ভাঁজ করে পকেটে রেখে দেয় এবং দাগ দেওয়া প্রশ্নপত্রটি দেখে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পূরণ করতে থাকে। এসময় ওই শিক্ষার্থীকে সিট পরিবর্তন করে অন্য একটি সিটে দেওয়া হলে সেখানেও সে দেখে দেখে দাগ দিতে থাকে।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবাদ করলেও হলেও কোন স্যার-ম্যামরা এগিয়ে না আসলে আমরা ওএমআর রেখে প্রশ্নপত্র জমা দিতে যাই। তখন স্যার-ম্যামরা সময় শেষ বলে প্রশ্ন ও ওএমআর দুটোই জমা নিয়ে নেয়। অভিযুক্ত ভর্তিচ্ছুর অন্য আরেকটি ভবনে সিট হলেও সে এ ভবনে নিয়ম ভঙ্গ করে বসছিল বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী শাকিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং নকলে তাকে সহায়তায় আমিনুল ইসলাম নামের একজনের কথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন জানান, ‘আমরা অভিযোগ পেয়ে শাকিল নামের ওই পরীক্ষার্থীকে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আটক করি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পরীক্ষায় নকলের বিষয়টি স্বীকার করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হবে। আপাতত ঐ ছাত্রকে পুলিশি হেফাজতে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমিনুল ইসলাম নামের ঐ ব্যক্তির মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি তা কেটে দেন। পরে মেসেজ করে কথা বলতে চাইলেও তার কোনও উত্তর তিনি দেননি।

উল্লেখ, ডি ইউনিটের ৩য় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ওয়াজেদ ভবনের ৪০৩ নং রুমে দায়িত্বরত ছিলেন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, মো. কামরুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ফাতিয়া ফারহানা ও কর্মচারী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –