• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

’৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য ৪০ গিগাওয়াট জ্বালানি চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২১  

২০৪১ সালের মধ্যে দেশে উৎপাদিত জ্বালানির মধ্যে অন্তত ৪০ গিগা ওয়াট নবায়নযোগ্য খাত থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশ যারা নিজস্ব অর্থায়নে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে। প্রতিবছর জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনে আমরা ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করছি।

‘পিফোরজি এর সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশ বর্তমানে কম কার্বন উৎপাদন পথকে অনুসরণ করছে। আমাদের জাতীয় সৌরশক্তি এ্যকশন প্ল্যান ২০২১-২০৪১ এর পূর্বাভাস বলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৪০ গিগা ওয়াটের বেশি জ্বালানি আসবে নবায়নযোগ্য খাত থেকে।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড ১৯ মহামারি এবং এর তৈরি নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আরও ভালো পুনর্গঠনে সবুজ পুনরুদ্ধার ও সবুজ উন্নয়নকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

‘পানি, পিফোরজি এর একটি কর্মক্ষেত্র, বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। এ কারণেই আমরা একশ বছরের একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছি যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পানির কার্যকর ব্যবহার ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।’

গত রোববার ২০২১ সালের পিফোরজি সিউল সামিটে পূর্বধারণকৃত এক বক্তৃতায় এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হচ্ছে ‘কার্বন নিরপেক্ষতার পথে সবুজ পুনরুদ্ধার অন্তর্ভুক্তকরণ’ শীর্ষক এ সামিট।

বাংলাদেশ, তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক জানিয়ে তিনি জানান, এখন চক্রাকার অর্থনীতির অংশ হিসেবে চক্রাকার ফ্যাশন ও টেক্সটাইলের কার্যকর সুযোগ অনুসন্ধান করছে।

শেখ হাসিনা বলেন,‘ক্লাইমেট ভলনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে আমরা গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয় স্থাপন করেছি। বাংলাদেশের মুল উদ্দেশ্যে হলো জলবায়ু ঝুঁকির মুখে থাকা এবং স্থানীয় ভাবে নেয়া অভিযোজন উদ্যোগগুলো তুলে ধরা।’

এ সময় সামিটে তিনটি পরামর্শ তুলে ধরেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, পিফোরজির পাঁচটি মূল নির্বাচিত বিষয়কে সামনে রেখে কর্মপরিধি নির্ধারণ এবং আরও বেশি বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতি নির্ধারক ও সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের নিযুক্ত করার মাধ্যমে প্রচারণা চালানো।

‘দ্বিতীয়ত. সবুজ উন্নতি এবং বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা- ২০৩০ অর্জনে সামাজিক অগ্রসরতার পাশাপাশি বৈশ্বিক অগ্রসরতাও প্রয়োজন; এবং

তৃতীয়ত. আমরা যারা এই পিফোরজি সামিটে অংশ নিয়েছি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সবুজ ভবিষ্যত অর্জনে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।’

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –