• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২২  

অপেক্ষা শেষ হচ্ছ জেলেদের। ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে। রাত ১২টার পর জেলেরা নির্বিঘ্নে আরো ইলিশ শিকার করতে পারবেন। ইলিশ শিকারের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা। তারা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন।

মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাবেন জেলেরা। কারণ, অন্য বছরের চেয়ে এবার গভীর সমুদ্র থেকে ডিম ছাড়তে মা ইলিশ নদীর মিঠাপানিতে ছুটে আসার সুযোগ পেয়েছে। এতে প্রজননের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়ায় নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়ার পরিবেশ ছিল উল্লেখ করার মতো। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল মৎস্যবিজ্ঞানী মা ইলিশ বিচরণের ছয়টি অভয়াশ্রমে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র পেয়েছেন।

এদিকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি অনুদান না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক জেলে। বরিশাল, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর জেলার কয়েক জেলে সরকারি অনুদান না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় কর্মচঞ্চলতা ফিরেছে ঝালকাঠির সুগন্ধা, বাগেরহাটের শরণখোলা ও বিষখালী পাড়ের জেলে পল্লিতে।

দেশের শীর্ষ মৎস্য বিজ্ঞানি, ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, পরিভ্রমণশীল স্বভাবের মাছ হচ্ছে ইলিশ। তাই এবছর আবহাওয়া অনুকূলে পেয়ে এই ইলিশের ঝাঁক সব বাধা পেরিয়ে সাগর ছেয়ে নদীতে ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। এ সময় মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তা বেশ সফল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, চলতি বছর ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে ডিম ছাড়ার পর আগামী জাটকা সংরক্ষণ মৌসুমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা গেলে এই উৎপাদনের হার ৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।

এর আগে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ওই ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকে। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয় বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নিষেধ থাকলেও অনেক মাছ ধরেন এ বিষয়ে এর আগে মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী বলেছিলেন, নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরতে নামে তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে অনেক ধনী ব্যক্তি থাকে, ক্ষমতাবান ব্যক্তিও থাকে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মতো এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইলিশ সম্পদ ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

২০০৩-০৪ সাল থেকে বাংলাদেশে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –