• বৃহস্পতিবার   ২৩ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৮ ১৪২৯

  • || ২৮ শা'বান ১৪৪৪

সর্বশেষ:
১৫৯ উপজেলাকে গৃহ-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী টিউলিপ চাষ করে ৪০ হাজার টাকার চেক পেলেন নারী চাষিরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল গাইবান্ধা জেলা আ.লীগ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে সজাগ সরকার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ৭ এপ্রিল থেকে মিলবে অনলাইনে: রেলমন্ত্রী

‘পাওয়ার ন্যাপ’ উপকারী না ক্ষতিকর!

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩  

‘পাওয়ার ন্যাপ’ হলো কম সময়ে শরীরকে সতেজ ও চাঙা করতে এবং পরবর্তী পারফর্ম্যান্স ভালো করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।

পরিসংখ্যান বলছে, ৫১ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক কখনোই রাতে ঘুমান না। এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। দিনের বেলায় ক্লান্তবোধ করায় শরীরকে একটু বিশ্রাম দিতে অল্প-স্বল্প ঘুমিয়ে নেন। বিশেষ করে দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে প্রবীণ ও শিশুরা এক থেকে দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেয়।

এই অল্প সময় ঘুমানোকেই ‘পাওয়ার ন্যাপ’ বলে। তবে এই ‘পাওয়ার ন্যাপ’র কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। আসুন সেই সম্পর্কে দেখে নেয়া যাক–

দিন-রাত যারা কাজ করে চলেছেন, তাদের জন্য অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজন। যখনই শারীরিক ও মানসিকভাবে নিস্তেজ বোধ হবে, তখনই শক্তি সঞ্চারের জন্য এক ঘণ্টার একটি ছোট ঘুমের প্রয়োজন হয়। এতে কাজের ক্ষেত্রে বা জীবনের নানান পরিস্থিতিতে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। কারণ, ঐ এক ঘণ্টার ঘুমেই শরীর ও মস্তিষ্ক ফুল চার্জ হয়ে যায়। মনকে দারুণভাবে সক্রিয় ও সতেজ করে তোলে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও দরকার ঘুম। সাইটোকাইনস নামে একটি প্রোটিন রয়েছে, যা ঘুমের সময় উত্‍পন্ন হয়। এই প্রোটিন সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশেষ কাজ করে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঘুমের সময় ভালো প্রতিক্রিয়া দেখায়। এ কারণেই ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যখনই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন।

অধ্যয়নের পর ঘুমানো হলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, সতর্ক হয় এবং স্মৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে।

সপ্তাহে এক-দুবার নিয়মিত পাওয়ার ন্যাপ নিলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

দুপুরে ঘুমানো কিন্তু বেশ কার্যকরী। শারীরিক দক্ষতা, কার্যকরী শিক্ষা, কম চাপ, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং উন্নত স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে দুপুরের ঘুম কার্যকরী। যেসব নারী রাতে ঘুম থেকে বঞ্চিত হন, তাদের হরমোনে এর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই পাওয়ার ন্যাপ হরমোনের প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে।

এক ঘণ্টা বা তার কম সময় ঘুমানোই যথেষ্ট। তবে এটি যদি সময়ের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে স্থূলতা, অলসতা, কার্ডিওভাসকুলার এবং ডায়াবেটিস হতে পারে। মেটাবলিজম সিন্ড্রোমের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –