• বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

  • || ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণ করব : ইসরায়েলি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪  

ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের একজন অতি-কট্টরপন্থি মন্ত্রী। ওই মন্ত্রীর নাম ইতামার বেন-গভির। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন তিনি। তিনি বলেছেন, তিনি পারলে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণ করবেন। তার এই মন্তব্য অনেকের মধ্যেই ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

মূলত ইসলাম ধর্মের অন্যতম পবিত্র এই স্থান ও ফিলিস্তিনের জাতীয় প্রতীক হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, বেন-গভিরের বিতর্কিত এই মন্তব্যে সেই বর্ণনা আরও শক্তিশালী হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির অতীতে বারবারই আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনা করার বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেছেন। সোমবার ইসরায়েলের আর্মি রেডিওকে অতি-কট্টরপন্থি এই মন্ত্রী বলেছেন, যদি সম্ভব হয় তবে তিনি আল-আকসা প্রাঙ্গণে একটি উপাসনালয় তৈরি করবেন। মূলত ইহুদিদের কাছে এই স্থপনাটি টেম্পল মাউন্ট হিসাবে পরিচিত।

আল জাজিরা বলছে, আল-আকসা প্রাঙ্গণ ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান এবং ফিলিস্তিনি পরিচয়ের প্রতীক। সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেন-গভির বলেন, ‘আমি যদি আমার ইচ্ছামত কিছু করতে পারি তবে আমি এই স্থাপনায় একটি ইসরায়েলি পতাকা রাখতাম।’ সম্ভব হলে এই স্থানে তিনি কোনও সিনাগগ তৈরি করবেন কি না; একজন সাংবাদিক তাকে বেশ কয়েকবার একথা জিজ্ঞাসা করলে বেন-গভির শেষ পর্যন্ত উত্তর দেন: ‘হ্যাঁ।’

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। ১৯২০ এর দশক থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর জিম্মাদারি রয়েছে জর্ডানের হাতে। কিন্তু যুদ্ধের পর সেটির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাত থেকে চলে যায়। এরপর ১৯৯৪ সালে একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে জর্ডানের কাছে আবারও এর নিয়ন্ত্রণ বুঝিয়ে দেয় ইসরায়েল।

মুসলমানদের কাছে আল-আকসা বিশ্বের তৃতীয়-পবিত্র স্থান। অন্যদিকে ইহুদিরা এই এলাকাটিকে টেম্পল মাউন্ট বলে থাকে এবং তাদের দাবি, এটি প্রাচীনকালে দু’টি ইহুদি মন্দিরের স্থান ছিল।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –