হার্ট ব্লক নিয়ে কিছু কথা
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বর্তমান সময়ে প্রায় সবাই জানে হার্ট ব্লক কী? হার্ট যদিও সারা শরীরের পাম্প করার মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত করে থাকে। হার্ট একটা থলে বা ব্যাগ, যার ভিতরে রক্ত একদিক দিয়ে প্রবেশ করে এবং চাপের মাধ্যমে অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে রক্তপ্রবাহ সারা জীবন বজায় থাকে বিধায় এর মাধ্যমেই আমরা বেঁচে আছি এবং কাজকর্ম করে যাচ্ছি।
আমরা যখন বিশ্রামে যাই তখন হার্ট সবচেয়ে কম কাজ করে এবং আমরা যখন কঠোর পরিশ্রম করি হার্টও তখন সর্বোচ্চ কাজ করে থাকে। কারণ তাকে কাজের অনুপাতে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হয়। মানে তাকে অনেক শক্তি খরচ করে মানব শরীরকে অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ করতে হয়। চাপের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ ঘটানোর জন্য হার্ট নামক থলেটা মোটা মাংসপেশি দ্বারা তৈরি। থলেটার মাংসপেশি সরাসরি থলের ভিতর থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে না। তাই তাদের রক্ত গ্রহণের জন্য আলাদা রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা আছে যা বিশেষ কিছু রক্তনালির মাধ্যমে হয়ে থাকে। এসব রক্তনালিকে হার্টের রক্তনালি বা করোনারি আর্টারি বলা হয়।
লোহার পানির পাইপ পুরনো হলে বিভিন্ন স্থানে মরিচা জমা হয়ে যেভাবে পানির প্রবাহ কমিয়ে দেয়, ঠিক একই কায়দায় হার্টের রক্তনালি মাঝেমধ্যে বা কোনো এক স্থানে ময়লা-জাতীয় বস্তু জমা হয়ে প্রতিবন্ধকতা বা ব্লকের সৃষ্টি করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে করোনারি আর্টারি ব্লক বা করোনারি আর্টারি ডিজিজ বলা হয়। কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষ এটাকে হার্ট ব্লক বলে বুঝে থাকে। কারও হার্ট ব্লক ধরা পড়লে ব্যক্তি এবং পরিবার একটা বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হয়, এটাই স্বাভাবিক।
যার হার্ট ব্লক ধরা পড়েছে তার ব্লক তাৎক্ষণিক সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ ধরনের ব্লক অনেক বছর আগেই সৃষ্টি হয় এবং তা খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কেউ এনজিওগ্রাম করেছেন এবং ব্লক ধরা পড়েছে। যদি এক বছর আগেও তিনি এনজিওগ্রাম করাতেন তবে কাছাকাছি বা একই ধরনের ব্লক ধরা পড়ত। তাই হার্ট ব্লক ধরা পড়লেই বিচলিত না হয়ে ধীরে-সুস্থে সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তাতে আপনার প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
হার্ট ব্লকের বেশ কয়েক ধরনের চিকিৎসা বর্তমান সময়ে বিদ্যমান আছে। যদি কারও হার্ট ব্লক ৬০% এর কম থাকে সেই ব্লককে নন সিগনিফিকেন্ট ব্লক বলা হয়। এ ধরনের রোগীদের (নন ইনভেসিভ পদ্ধতি) মেডিসিন, খাদ্যাভ্যাস ও জীবন ধারা পবির্তনের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে। যাদের ব্লক শতকরা ৬০% বা তার অধিক তাদের চিকিৎসা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে তাৎপর্যপূর্ণ (শতকরা ৬০% বা তার অধিক ব্লক মানে ৬০% থেকে ১০০%) ব্লকের চিকিৎসা হিসাবে তিন ধরনের চিকিৎসা বিদ্যমান আছে।
যেমন- রিং পরা, বাইপাস অপারেশন এবং ইসিপি মেশিনের মাধ্যমে ন্যাচারাল বাইপাস চিকিৎসা গ্রহণ করা। এখানে রিং এবং বাইপাস পদ্ধতি কাটা-ছেঁড়া বা অপরেশনের মাধ্যমে করা হয়। কিন্তু ইসিপি থেরাপির মাধ্যমে ন্যাচারাল বাইপাস চিকিৎসায় কোনোরূপ কাটা-ছেঁড়া বা অপারেশনের প্রয়োজন হয় না এবং এটি বেশ কার্যকরী ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত। তবে কেউ প্রয়োজন হলে বার বার রিং পরতে পারবেন। রিং পরে পরবর্তীতে প্রয়োজনে বাইপাস বা ন্যাচারাল বাইপাস করতে পারবেন। অনুরূপভাবে কেউ ন্যাচারাল বাইপাস চিকিৎসা নেওয়ার পর প্রয়োজন হলে রিং অথবা বাইপাস অপারেশন অথবা আবারও ন্যাচারাল বাইপাস চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন এতে কোনো অসুবিধা হবে না।
হার্ট ব্লক এমন একটি অসুস্থতা যা একবার দেখা দিলে তা বার বার হতে থাকে। ফলে কোনো না কোনো সময়ে আবার ব্লক দেখা দেয় (চিকিৎসা গ্রহণের পরেও) এবং অনেক সময়ই বারবার চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই মধ্য বয়স থেকেই খাওয়া-দাওয়া ও শারীরিক কর্মক্ষমতা বজায় রাখুন। এতে আপনার শারীরিক যোগ্যতা (ফিটনেস) বজায় থাকলে হাইপ্রেসার, ডায়াবেটিস ও হার্ট ব্লক থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
লেখক,
ডা. এম শমশের আলী
চিফ কনসালটেন্ট, শমশের হার্ট কেয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।
- আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন, আর হামলা হবে না : ড. ইউনূস
- অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নিলেন
- পশুশক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
- জোবরা থেকে দেশের অভিভাবক
- অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন
- অরাজকতা-অগ্নিসংযোগ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সেনাবাহিনী
- মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানালেন মোদী
- অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নিলেন ড. ইউনূস
- জুনাইদ আহমেদ পলক আটক হয়েছেন
- ভুলবেন না ‘অহংকার পতনের মূল’
- ছাত্র আন্দোলনে আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু
- জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা
- বিশ্ববিদ্যালয়-সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন স্কিম বাতিল
- আ.লীগের ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
- আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী
- হানিয়ার হত্যা নিয়ে যা বললেন বাইডেন
- নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনের প্রয়োগ নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি জোরালো সমর্থন আইসিসি’র
- জামায়াত-শিবিরের বক্তব্য-বিবৃতি প্রকাশ করা যাবে না
- ৬ সমন্বয়কের করা অভিযোগগুলো সঠিক নয়: ডিবি প্রধান
- কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া
- কাতারে ইসমাইল হানিয়ার দাফন সম্পন্ন
- তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পলকের
- ৭ ঘণ্টা পর ফেসবুক-মেসেঞ্জার সচল
- রাজধানীতে বিজিবির টহল জোরদার
- শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতিপক্ষ নয়: ওবায়দুল কাদের
- আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত ৪২ শিক্ষার্থী জামিনে মুক্ত
- ইসরায়েলে বিমান চলাচল বাতিল ৭ এয়ারলাইন্সের
- জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, প্রজ্ঞাপন জারি
- আন্তর্জাতিক তদন্তে বের করা হবে, কারা এসবে জড়িত: প্রধানমন্ত্রী
- দেবীগঞ্জে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
- গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেফতার
- প্রশ্নফাঁস প্রমাণ হলে পরীক্ষা বাতিল: পিএসসি চেয়ারম্যান
- ‘অন্ধ হতে চাই না, সহযোগিতা করুন’, দু’চোখ হারানো ইয়াসিনের আর্তনাদ
- প্রশ্নফাঁস নিয়ে যা বললেন পিএসসি চেয়ারম্যান
- ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে কলেজছাত্র মিলন
- হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা আর্জেন্টিনার
- রাতের আঁধারে পাচার হচ্ছিল ২০ লাখ টাকার চা!
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: শিল্পমন্ত্রী
- দেশের মানুষ চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায় কেন, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- উদ্যোক্তা তৈরিতে জয়িতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে: স্পিকার
- গার্লস স্কুলের ছাত্রী মিতা মারা যাওয়ার সংবাদটি মিথ্যা
- কোটা এখন রাজনৈতিক আন্দোলন হয়ে গেছে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত
- দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস
- তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পলকের
- দেশে ফিরলেন ৫৯ হাজার ৩৩০ হাজি
- গাজায় বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পে ইসরায়েলের বর্বর হামলা, নিহত ২৯
- ৬ সমন্বয়কের করা অভিযোগগুলো সঠিক নয়: ডিবি প্রধান
- সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

