• রোববার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজান শ্রবণকারীর ক্ষেত্রে যা মুস্তাহাব

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৩  

ইসলামে প্রতি ওয়াক্তের এবং জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য মুসল্লিদের নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আহ্বান জানানো হয়; যাকে আজান বলা হয়। আজান হলো নামাজ পড়ার আহ্বান।

কোরআনের সূরা আল মায়িদার ৫৮ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা যখন নামাজের জন্য ডাকো, তখন তারা তাকে হাসি-তামাশা ও খেলার জিনিস বলে নেয়’। প্রার্থনার জন্য আহ্বান করতে খ্রিষ্টানরা ঘণ্টা বা কাঠের বাজনা ব্যবহার করত। ইহুদিরা শিঙা ফুঁকত। হজরত মোহাম্মাদ (সা.) মদিনায় আজানের প্রবর্তন করেন। ইসলামে প্রথম মুয়াজ্জিন ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। ইসলাম ধর্মে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়।

আাজনের আওয়াজ যাদের কাছে পৌঁছবে তাদের প্রত্যেকেই কেয়ামতের ময়দানে মুয়াজ্জিনের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যার কাছেই পৌঁছবে, হোক সে মানুষ, জিন অথবা অন্যকোনো জিনিস, সে কেয়ামতের ময়দানে মুয়াজ্জিনের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে’। (বুখারি)

মানুষ যদি জানত আজানের মধ্যে কী ফজিলত রয়েছে, তবে তারা অবশ্যই এর জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হত। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষ যদি জানত আজান ও প্রথম কাতারের মধ্যে কি ফজিলত রয়েছে আর তারা লটারির আশ্রয় নেয়া ছাড়া তা পেত না, তবে তারা এর জন্য অবশ্যই লটারির আশ্রয় নিত’। (বুখারি)

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –