পাটের ভালো ফলনের সঙ্গে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় খুশি রংপুরের চাষিরা
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
রংপুরে এবার সাড়ে আটশ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ বেড়েছে। ন্যায্যমূল্য পাওয়ার পাশাপাশি চাহিদা বাড়ায় পাট চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। এখন পাটচাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। আর বাজারে বিঘা প্রতি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাট। সঙ্গে রফতানি প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় বেড়েছে পাটজাত পণ্যের চাহিদা।
কৃষি বিভাগ বলছে, সোনালি আঁশখ্যাত পাটকে ঘিরে সোনালি স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা। কদর বেড়েছে সোনালী আঁশের রুপার কাঠিরও। গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরেও ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে পাটকাঠি। সঙ্গে পাটজাত পণ্যের চাহিদাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে শিল্পোদ্যোক্তা। গেল কয়েক বছরে জেলায় গড়ে উঠেছে নতুন আরও সাতটি পাটকল। সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে হাজারও নারী-পুরুষের। আগামী মৌসুমে পাটচাষ দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয় সূত্র বলছে, চলতি বছর রংপুরে ৯ হাজার ১৯৮ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়েছে। সেখান থেকে ২০ হাজার ৫০৯ মেট্রিন টন পাট উৎপাদিত হয়েছে। গত বছর পাটচাষ হয়েছিল ৮ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৮৫২ হেক্টর বেশি জমিতে পাটচাষ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটের ভালো ফলনের সঙ্গে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় খুশি চাষিরা। দুই বছর ধরে পাটের বাজার ভালো যাচ্ছে। তবে গত বছরের চেয়ে এবার দাম বেশি মিলছে। গত বছর যে পাট ২ হাজার আড়াই হাজারে বিক্রি করেছেন, এবার তা ৩ হাজার ১০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যেন সোনালি আঁশে চাষিরা হাসে।
চাষিরা বলছেন, বর্তমানে কীটনাশক, বীজ ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি বিঘা জমিতে পাটচাষে তাদের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর বিঘা প্রতি জমিতে পাট উৎপাদন ১০ মণ ছাড়িয়েছে। বর্তমান বাজারে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা মণ ধরলে প্রতি বিঘা পাট বিক্রি করে হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এ হিসেবে পাটে প্রতি বিঘায় লাভ হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া পাটকাঠি থেকে হচ্ছে বাড়তি আয়।
বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা পাট বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ আবার পাটকাঠি নিয়ে ব্যস্ত। বিভিন্ন হাটে পাটের ক্রেতারা নগদে বাকিতে চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনছেন। বেশির ভাগ এলাকায় পাট বিক্রি শেষের পথে। অনেকে আবার বেশি দামের আশায় সংরক্ষণ করে রাখছেন। তবে গ্রামের পথে মাঠে পাটকাঠি শুকানোর লম্বা সারি চোখে পড়ছে।
কাউনিয়া উপজেলার গদাই গ্রামের পাট চাষি আল-আমিন মিয়া বলেন, চার মণ পাট বিক্রি করে প্রায় ১৩ হাজার টাকা পেয়েছেন। গত বছর একই জমির পাট সাড়ে ১১ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছিল। এবার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। পাটকাঠিরও দাম বেড়েছে। গ্রাম থেকে অনেকেই পানের বরজ, পার্টিকেল বোর্ড ও জ্বালানি খড়ি হিসেবে পাটকাঠি কিনে নিচ্ছেন। আগের তুলনায় পাটের পাশাপাশি পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। গেল কয়েক বছর জেলার পাটকলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। উৎপাদিত সুতলি বিভিন্ন হস্তজাত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। সেখানে সুতলি দিয়ে কারুপণ্য তৈরি হচ্ছে। আবার পাটকলে উৎপাদিত বস্তাও দেশের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর থেকে বিভিন্ন পাটজাত পণ্যসামগ্রী দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরেও রফতানি করছেন উদ্যোক্তারা।
পাট অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. সোলায়মান আলী বলেন, পাটচাষে মানুষের মধ্যে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। সরকারিভাবেও তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তা ছাড়া মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পাটের ভালো ফলনে করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ছে। তবে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি উদ্যাগী হতে হবে। পণ্যের মোড়ক হিসেবে পাটের ব্যবহার বাড়ানো গেলে পাটজাত পণ্যের বিক্রি আরও বাড়বে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, কয়েক বছর ধরে চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। মোটামুটি ভালো লাভ হওয়াতে পাট উৎপাদনে নতুন চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। এখন সোনালি আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকারসহ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস
- জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি, যা বললেন নায়ক
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনা
- সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- ৭ বছর ধরে নিজ বাড়িতে শিকলে বন্দী নুর
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে’
- রাবি ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বিএনপি
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হৃদয়
- আলোচনার মাধ্যমে ১১৭ বিজিপিকে ফেরানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ
- পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশকে আইজিপির নির্দেশ
- নতুন দামে সয়াবিন তেল মিলবে যেদিন থেকে
- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ সরকারের
- এমআরটি-১ প্রকল্প বাস্তবায়নে পাতাল রেল যুগে পৌঁছাবে দেশ
- সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন: ডা. দীপু মনি
- মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে ব্লাড সুগার? জেনে নিন কারণ
- চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ থেকে অফিস-আদালত-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
- পীরগঞ্জে দুই কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন