কুড়িগ্রামে নদ-নদীর তীরে মাঠজুড়ে শুধু সাদা কাশফুলের সমারোহ
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী সময়টা চলছে শরৎকাল। এ মৌসুম এলেই চরাঞ্চলখ্যাত জেলা কুড়িগ্রামের চারদিকে বসে সাদা মেঘের ভেলার মতো কাশফুলের মেলা। কুড়িগ্রামে রয়েছে ছোট-বড় মিলে ১৬টি নদ-নদী। এসব নদ-নদীর তীরে মাঠজুড়ে শুধু সাদা কাশফুলের সমারোহ। নদ-নদীর অববাহিকায় চার শতাধিক চরাঞ্চলে জেগে ওঠা বালুমাটিতে বিশাল পরিসরে কাশবন হয়ে উঠেছে।
এ জেলায় কোথাও তেমন বিনোদন স্পট না থাকায় বিনোদনপ্রেমী তরুণ-তরুণীরা ছুটছেন এসব কাশবনের দিকে। কাশগাছের চূড়ায় সাদা কাশফুলে যখন ভরে ওঠে, তখন প্রকৃতি যেন হেসে ওঠে চারদিকে। তাই একটুকরো প্রশান্তি নিতে ছুটে যায় মানুষ। এ সময় মুঠোফোনে ধারণ করে রাখে তারা মনোরোম এসব দৃশ্য। আর সিনেমা-পাগল দর্শকদের তো কাশফুল চেনার কথা আরও বেশি। যারা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস এবং বিশ্ববিশ্রুত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ‘পথের পাঁচালী’ দেখেছেন, তারা জানেন কাশফুলের সৌন্দর্য সম্পর্কে। কলকাতার বর্ধমান শহর থেকে অনতিদূরে পালসিট স্টেশনের কাছে ছিল সেই কাশবন। সত্যজিৎ রায় দিনের পর দিন কাশবনে এসেছেন দৃশ্য ধারণের জন্য। সেখানেই ‘পথের পাঁচালী’র প্রথম শুটিং করে চলচ্চিত্রের রূপ দিয়েছিলেন তিনি।
সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ধরলার অববাহিকায়, সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায়, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাটসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে দেখা গেছে সাদা মেঘের ভেলায় কাশফুলের মেলা। এ চিত্র এখন কুড়িগ্রামের শত শত চরাঞ্চলের। এমন প্রকৃতি ও সৌন্দর্যে যে কারও হারিয়ে যেতে মন চাইবে। কাশবন শুধু চরাঞ্চলের সৌন্দর্যই বাড়ায়নি, এসব কাশগাছ বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চরাঞ্চলবাসী।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বন্যা-পরবর্তী সময়ে নদ-নদীর অববাহিকায় বালুমাটি জমে। সেখানেই জন্ম নেয় কাশগাছ। কোনো প্রকার ব্যয় ছাড়াই কাশবন বিক্রি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন চরাঞ্চলের মানুষ। এক বিঘা জমির কাশের বাগান ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।
এ ছাড়া কাশফুলের বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে বলে জানা যায়। যেমন পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে পিত্তথলির পাথর দূর হয়। কাশমূল বেটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়। এ ছাড়া শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহৃত হয়।
কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চর গ্রামের কাশেম আলী বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে কাশিয়া (কাশ) ফলন হয়েছে। এগুলো খুলনা ও বরিশাল বিভাগের লোকজন এসে নিয়ে তারা পানের বরজে দেবে। অনেকে আবার কিনে ঘরের ছাউনি ও ঘরের বেড়া দেয়। কাশিয়া আবাদ করা লাগে না। বন্যার পর প্রতিবছর এমনিতেই জমিতে জন্ম নেয়। আর এক থেকে দুই মাস পর আমার ১০ বিঘা জমির কাশিয়া তিন থেকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব। এই টাকা দিয়েই ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসারে খরচ চালাব। চরে বিনা পয়সায় এই আবাদটাই হয়ে থাকে আমাদের।
ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা নদীভাঙা মানুষ। আমার এখানে কোনো প্রকার ব্যয় ছাড়া কাশিয়া হয়। আমার দুই বিঘা জমিতে কাশিয়া হইছে, তা বিক্রি করে অন্য আবাদ করব আর বাকি টাকা সংসারে খরচ করব। জমিতে কাশ জন্ম নেওয়ার পাঁচ থেকে ছয় মাস পর গাছ থেকে কাশিয়ার ফুল পড়ে গেলে গাছ কেটে আঁটি বাঁধি। পরে এক হাজার আঁটি পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে তিনি জানান।
কাশবন দেখতে আসা মানিক মিয়ার সঙ্গে কথা হয় ধরলার অববাহিকায়। তিনি বলেন, আমার বাড়ি এখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। এখানে একটা কাজে এসেছি। তাই কাশফুলের বাগান দেখতে এলাম। খুব ভালো লাগল। পরবর্তী আসলে পরিবার নিয়ে আসার কথা আছে।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন জানান, ঋতুপরিক্রমায় এখন শরৎকাল। আর সেই শরৎকালের বৈশিষ্ট্য কাশফুল। কাশফুলের আদিনিবাস শুধু রোমানিয়ায়। এটি বাংলাদেশেরও একটি পরিচিতি উদ্ভিদ। আমাদের কুড়িগ্রামে এটি অতিপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু কুড়িগ্রামে ৪২০টিরও বেশি চরাঞ্চলে রয়েছে। এসব চরে এখন কাশফুলের সমারোহ। কাশফুলের ইংরেজি নাম ক্যাটকিন। কাশফুলে রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। কাশ সাধারণত শুকিয়ে খর হিসেবে গোখাদ্যর ব্যবহারও করা হয়। তা ছাড়া গ্রামাঞ্চলে ঘরের ছাউনি, বেড়া নির্মাণ করা হয়ে থাকে। আমাদের অর্থনৈতিক ফসল পানগাছের ছাউনি ও বরজেও ব্যবহার হয়ে থাকে কাশ। আমরা জানি কাশে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। পিত্তথলিতে পাথর হলে কাশের মূল পিশিয়ে খাওয়ানো হয়। ব্যথা বা ফোঁড়া হলে কাশের মূলের রস উপশম করে। তা ছাড়া পরিবেশ দূষণ, বিশেষ করে যেখানে শিল্প-কারখানার ছাই থাকে, সেখানে কাশ জন্ম নিলে পরিবেশ পরিশোধিত হয়।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে একটি গোষ্ঠীর কদর বাড়ে
- দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়েছি
- পায়রা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামবাসীর জন্য সরকারি ৮৩ পদে চাকরির সুযোগ
- সৈয়দপুরে চকলেট খেয়ে ৯ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
- রংপুরে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
- শক্তিশালী জাতিসংঘ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- উলিপুরে মাদকসহ আটক ২
- উলিপুরে মাদকসহ আটক ২
- পঞ্চগড়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল চালক নিহত
- পরিচ্ছন্নতাকর্মী বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন প্রতিমন্ত্রী
- লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল চালানো ৯ ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড
- উন্নয়নের পথে বাধা এলে মোকাবিলা করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়ছেই
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে সোনালি অধ্যায় চলছে
- বাংলাদেশের একের ভেতর তিন লড়াই
- অস্কারে যাওয়ার টিকেট পেল তামিল ছবি `কুজহাঙ্গাল`
- সামাজিক দূরত্ব তুলে নেওয়ার পর কাবা প্রাঙ্গণে প্রথম জুমা
- ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিলেন এরদোয়ান
- কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে বিএনপিই ভালো জানে: তথ্যমন্ত্রী
- শ্রেণিকক্ষে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে জানুয়ারিতে: শিক্ষামন্ত্রী
- ‘সঞ্চালনব্যবস্থা আধুনিক করার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে’
- ২ কোটির বেশি মানুষের পূর্ণ হলো দ্বিতীয় ডোজ
- ‘সংগ্রামের তরে’ প্রস্তুত হও ঘরে ঘরে
- পায়রা সেতু উদ্বোধন আজ
- ৪০ মিনিটেই ঢাকা-গাজীপুর, বাস মিলবে দেড় মিনিট পরপর
- ওয়াই ব্রিজে পঞ্চগড় হবে পর্যটন এলাকা: রেলমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে দায়িত্ববাহকদের সাথে শিশু-যুবদের সভা
- ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা
- পঞ্চগড়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- টি-২০ বিশ্বকাপের ‘ডার্ক হর্স’ হতে পারে বাংলাদেশ
- সরকার বিশ্বাস করে `ধর্ম যার যার উৎসব সবার`- তথ্যমন্ত্রী
- শেখ হাসিনা: মানবিক নেতৃত্ব এবং অগ্রযাত্রার অগ্রদূত
- আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে কলকাতাকে জেতালেন সাকিব
- ৩৭ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন
- করোনা সত্ত্বেও এক বছরে দেশে নতুন কোটিপতি প্রায় ১৪ হাজার
- দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
- হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ হলে ইসরায়েলে দৈনিক ২ হাজার রকেট ঢুকবে
- উলিপুরে সাবেক জেলা ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল’র স্মরণে শোকসভা
- ঋণখেলাপীদের জন্য সময় বাড়ল ‘ওয়ান টাইম এক্সিট’ সুবিধার
- শিশু-কিশোর, তরুণদের কাছে ভালোবাসার নাম শেখ রাসেল: রাষ্ট্রপতি
- প্রতি মাসে এক দিন বিনামূল্যে রোগীদের সেবা দিয়ে প্রশংসিত ডা. হৃদয়
- বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আলজেরিয়া
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের মূল দলে রুবেল
- চলতি মৌসুমে গভীর পানিতে আমন ধান চাষে সফলতা কৃষকের
- নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান টিপু মুনশির
- দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার
- নগর উন্নয়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে নেদারল্যান্ড
- কাল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- ইতিহাসে জিয়া খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে: ড. হাছান মাহমুদ


