• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২২  

উজানের পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে থাকায় কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কাচা-পাকা সড়ক এখনও জলমগ্ন থাকায় যোগাযোগ নিয়ে ভোগান্তি কমেনি বন্যার্তদের।

অনেকেই কলার গাছের ভেলা বানিয়ে চলতে হচ্ছে। এখনও ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রায় ছয়শ’ হেক্টর জমির পাট, আউশ ও আমন বীজতলাসহ নানা ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ওইসব এলাকায় হাস মুরগি ও গবাদি পশুগুলোকে নিয়ে মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট।

এদিকে, উজানের পানি ও অবিরাম বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি কমলেও ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় চরাঞ্চলের বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত দুই দিনে ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫০ সে.মি. বেড়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে এখনও সবকটি নদনদীর পানি বিপদ সীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে। ধরলার পানি বেড়ে সদর উপজেলার যাত্রাপুর, পাঁচগাছি, ভোগডাঙ্গা, সারডোব ও বড়াইবাড়ি এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের প্রায় ছয় শতাধিক পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তারা এখন বন্যা আতঙ্কে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদ সীমার ৩৭ সে.মি ও ধরলার পানি বিপদ সীমার ১৬ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।তবে তা আরো দ্রুত বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –