• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ভাঙছে নদী, বাড়ছে পানি

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২  

উজানের ঢল ও টানা ভারী বর্ষণের কারণে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীবেষ্টিত ১৬৫ চরের নিম্নাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ছোট ছোট চরগুলোর মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীবেষ্টিত বিভিন্ন চরে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ, তিস্তার পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করোতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
ফুলছড়ির ইউএনও মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন চরের নিম্নাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। এছাড়া উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর, উত্তর উড়িয়া ও জিগাবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারী, মধ্য খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, তালতলা, কাউয়াবাধা ও নিশ্চিন্তপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনারচর ও জিয়া ডাঙা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে প্রায় ১৫০ পরিবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।

গাইবান্ধা সদরের ইউএনও জানান, কামারজানী ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশ কিছু চরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাইবান্ধা অংশের বাগুড়িয়া থেকে কামারজানি পর্যন্ত যেসব স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ছাড়া কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া চরে নদী ভাঙা মানুষগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ছোট ছোট চরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বেশ কিছু চরের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আপাতত ব্রহ্মপুত্রের পানি কমার সম্ভাবনা নেই।গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে কামারজানি পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য বাঁধ ভালো আছে। নদীর পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –