• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিমা কার্যক্রমকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২০  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা এই বিমাটাকে আরও মানুষের কাছে নিয়ে যান।  বিমাকে জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। শিক্ষাবিমা, শস্যবিমা, স্বাস্থ্যবিমা, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিমা করা যেতে পারে।  প্রযুক্তিনির্ভর অটোমেশন পদ্ধতির মাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে এনে বিমা কার্যক্রমকে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রোববার (০১ মার্চ) রাজধানীর  বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রথম ‘জাতীয় বিমা দিবস ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রথম জাতীয় বিমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।

বিমা সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  দেশে বিমা সম্পর্কে সচেতনতা খুবই কম। বিমার মাধ্যমে দুঃসময়ে গরিব মানুষগুলো বিরাট সুফল পেতে পারে। আবার এই বিমার মাধ্যমে কিন্তু বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। 

বিমা খাতের অতীত  অবস্থার কথা তুলে ধরে  শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলায় শুনতাম যে কি চাকরি করে, ওই অমুক বিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে চাকরি করে। কারণ বিমা এনে দিলেই তারা একটা টাকা পেত। এটা একটা ভালো অর্থ উপার্জনের পথ ছিল। কিন্তু এখন সেই জিনিসটা একটু কম। আমি মনে করি এটা আবার ফিরে আসা উচিত।

বিমা খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমার দাবি নিষ্পত্তি থেকে শুরু করে বিমা সেবা আরো সহজীকরণ করবার জন্য আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা একান্তভাবে অপরিহার্য। এটা করলে পরে দুর্নীতি দূর হবে, মানুষ উপকার পাবে।

তিনি বলেন, অটোমেশন পদ্ধতিতে  বিমা সেক্টরের অনেক সমস্যাও সমাধান হবে। কেউ আর ফাঁকি দিতে পারবে না। বিমার গ্রাহক যারা তাদেরও আস্থা বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করতেন সে কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বিমা খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিশিষ্ট বিমা ব্যক্তিত্বকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম খোদা বক্স, মরহুম গোলাম মাওলা, বিজিআইসি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম এম এ সামাদ (মরনোত্তর), জীবন বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল আলম (মরনোত্তর) এবং ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরহুম শাফায়েত আহমেদ (মরনোত্তর)। সম্মাননাপ্রাপ্তদের পক্ষে তাদের  স্বজনদের হাতে পদক তুলে দেন  প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬০ সালের ১ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআর) অনুরোধে ১ মার্চকে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ ঘোষণা করে সরকার।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –