• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

দারিদ্র্য আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ জাদুঘরে চলে গেছে: প্রধানমন্ত্রী   

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন আর মোটেই ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ নয়। গত এক দশকে এসব জাদুঘরে চলে গেছে, যার নেপথ্যে ছিল, আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৫টি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের একটি। আর জিডিপির হিসেবে ৪১তম।

রোববার (৭ নভেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিপণন সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলনে তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে মাতৃমৃত্যু আর শিশুমৃত্যুও।

যে কোনো পণ্য উৎপাদনের পরের ধাপই বিপণন। সেখানে যার পণ্য যতটা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়, ক্রেতার নজর থাকে তার ওপরই। সারা বিশ্বে দক্ষ মানবসম্পদকেও ঠিক একইভাবে করা হয় মূল্যায়ন। তথ্যপ্রযুক্তির বহুমাত্রিক প্রসারে এখন ঘরে বসেই বাংলাদেশি তরুণরা নিজেদের উপস্থাপন করছেন আন্তর্জাতিক বহু মার্কেটপ্লেসে।

বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছে সরকারও। এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক বিপণন বিশেষজ্ঞ ফিলিপ কটলারের সংগঠন, কটলার ইমপ্যাক্ট, বাংলাদেশ সরকার আর নর্দার্ন এডুকেশন গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিটে ভিডিও বার্তায় তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০১০ সালের ১৮ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার থেকে রপ্তানি আয় ১০ বছর পর এসে দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে।  

সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ঝুঁকি তুলে ধরেন আয়োজকরা। আর করোনা-পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষত সারাতে ছোট দেশগুলোতে নতুন নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসতে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, করোনা-পরবর্তী সময়ে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষত সারাতে এই সম্মেলন কাজে দেবে। আমরা এখন নতুন এক বিশ্বে পা রাখতে যাচ্ছি। যেখানে একা একা উন্নয়নের চিন্তা করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই সংকটময় সময়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে আবারও ভাবতে অনুরোধ করব।

অন্যদিকে, নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ বলেন, দেখুন জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকা কতটুকু। আর এর ঝুঁকিতে বাংলাদেশের ক্ষতি হচ্ছে কতটা। এটা নির্ধারণের সময় এসেছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বহু ক্ষেত্র রয়েছে। কিন্তু শুধু বিনিয়োগ আর লাভ খুঁজলে হবে না। আমাদের টেকসই উন্নয়নের রাস্তা তৈরি করতে হবে।

ভার্চুয়াল সম্মেলনে বিশ্বের বহু দেশের শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –