নিঃশর্তে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় তুরস্ক
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২১
কোনো ‘রাজনৈতিক শর্ত’ ছাড়াই বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে তুরস্ক প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকায় তুর্কি রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। বুধবার বিকেলে ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাসে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিকাব সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁদের বেশির ভাগ প্রতিরক্ষা পণ্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই তৈরি করা হয়। তাঁদের ড্রোন ব্যবহার করা হয় লিবিয়া, সিরিয়া, নগরনো কারাবাখে।
মুস্তাফা ওসমান বলেন, ‘তুরস্ক প্রতিরক্ষা শিল্পে বিশাল অগ্রগতি অর্জন করেছে। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো থেকে যখন আমরা কিছু কিনতে চাই তখন সব সময় সেই কেনাকাটার সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক শর্ত থাকে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্ক সব সময় যৌথ উদ্যোগ বা প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রস্তাব দেয়। জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। আমরা সব সময় বলি, আপনারা চাইলে আমরা একসঙ্গে জাহাজ নির্মাণ করতে পারি। বাংলাদেশের জন্যও এটি অত্যন্ত প্রযোজ্য।’
রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, এই জাহাজ (তুরস্কের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা) শুধু সামরিক নয়, নৌযান হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে। এটি একটি বড় সুযোগ। তুরস্ক সব সময় রক্ষণাবেক্ষণ, অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ দিয়ে থাকে। আর এখানে কোনো রাজনৈতিক শর্ত নেই।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি, গভীর রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবেও দেখি।’
প্রতিরক্ষা কেনাকাটা বাণিজ্য হিসেবে গণ্য হয় না উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ‘মাল্টি লঞ্চার রকেট’ দিয়েছে। এটি বাণিজ্য ভারসাম্যকে প্রভাবিত করছে না। বাণিজ্য ভারসাম্যের জন্য বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি, ওষুধ, তৈরি পোশাক খাতেও তুরস্ক যুক্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ কী ধরনের প্রতিরক্ষা পণ্য কিনতে চাচ্ছে জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কোনো একক খাতে সীমিত নয়। তুরস্কের বিভিন্ন কম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের কম্পানিগুলোর আলোচনা চলছে। তবে আমি এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সমন্বিত অংশীদারি আছে। যা প্রয়োজন তা আমরা দেব। ক্রেতাদের যা প্রয়োজন তাই আমরা দিয়ে থাকি।’
এর উদাহরণ হিসেবে রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, জাহাজ নির্মাণ কম্পানিগুলোও ‘প্যাট্রল ভেসেলস’ নির্মাণ করছে। সেগুলো উন্নত প্রযুক্তির। তিনি বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। বিমানবাহিনী প্রধান তুরস্ক সফর করে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছেন। এ মাসের শেষ দিকে আমাদের নৌবাহিনী প্রধান বাংলাদেশে আসছেন। আমরা লেনদেন সম্পন্ন করেছি। বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা প্যাট্রল ভেসেল নির্মাণ করতে পারি।’
ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের উত্থানের কারণে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা পশ্চিম থেকে এশিয়ায় চলে এসেছে। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা করছে। ক্ষমতার রাজনীতিতে সব সময় ভারসাম্য থাকে। কিছু দেশ আইপিএসকে সমর্থন করছে। এটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
প্রশ্নোত্তর পর্বে রাষ্ট্রদূত ইঙ্গিত দেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার থেকে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের বাঁচাতে চিঠি পাঠানো তুরস্ক এখন পুরোপুরি বদলে গেছে। তিনি বলেন, এ দেশের কোনো দলের সঙ্গে বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই তুরস্কের। বাংলাদেশের আইন কিভাবে চলবে বা কোন রাজনৈতিক দলকে জনগণ গ্রহণ করবে সেটি এ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায় কার্যকর নিয়ে টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল তুরস্কের সঙ্গে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে নিয়েছিল আংকারা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পুরো সম্পর্কটা আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। রাষ্ট্রদূত জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক চিঠিই পুরো সম্পর্কের গতিপথ বদলে দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, ২০১৬ সালে যখন তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়, তখন বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে সমর্থন জানিয়ে লিখিত বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তুরস্কের ইউরোপীয় বন্ধুরা, সরব হওয়ার আগেই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রশ্নে তুরস্কের কি অবস্থান পাল্টেছে—এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত তুরান কৌশলী উত্তর দেন। তিনি বলেন, তুরস্ক আগে ভুল করেনি। তৃতীয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি করেছিল। তিনি আরো বলেন, তুরস্ক মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। তবে শেষ পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার বিষয়।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় তুরস্কের সহযোগিতা ও তুরস্কের ফার্স্ট লেডির কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। ডিকাব সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’
- এবার ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে