• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিতে জুরি বোর্ড গঠন

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২  

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ দেওয়ার লক্ষ্যে ১৩ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড গঠন করেছে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (চলচ্চিত্র) সভাপতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে বোর্ডের সদস্য সচিব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
 
জুরি বোর্ডের বাকি সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র), বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত ফেরদৌস, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক পঙ্কজ পালিত, বিশিষ্ট অভিনেতা জাহিদ হাসান, বিশিষ্ট অভিনেত্রী সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মোহাম্মদ নকিব উদ্দিন খান (নকিব খান) ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।  

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ দেয়ার লক্ষ্যে ঐ পঞ্জিকাবর্ষে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রগুলো মূল্যায়ন করে পুরস্কারপ্রাপক ব্যক্তি/চলচ্চিত্রের নাম সুপারিশ করার জন্য এ জুরি বোর্ড গঠন করা হলো।

জুরি বোর্ডের কার্যপরিধিতে বলা হয়, জুরি বোর্ড ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র দেখে পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের নাম সুপারিশ করবে, জুরি বোর্ড গঠনের পর বোর্ড পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র আ্বান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরস্কারের বিবেচনার জন্য চলচ্চিত্র জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে, জুরি বোর্ড প্রাপ্ত চলচ্চিত্রের স্ক্রিনিং, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে বিবেচ্য বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।

এতে বলা হয়, আজীবন সম্মাননা ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে প্রয়োজনীয় মনে হলে জুরি বোর্ড একাধিক চলচ্চিত্র ও ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারবে, জুরি বোর্ড পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা ব্যক্তিদের জীবন-বৃত্তান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদয় অবগতি ও বিবেচনার জন্য সুপারিশমালার সঙ্গে দাখিল করবে, কোনো ক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কারের জন্য যথাযোগ্য মনে না করলে জুরি বোর্ড সেক্ষেত্রে সুপারিশ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবে। তবে সুপারিশ না করার কারণ উল্লেখ করতে হবে, জুরি বোর্ড পুরস্কারের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুখ্য সুপারিশের পাশাপাশি বিকল্প সুপারিশও দেবে, এসব দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা ও কার্যক্রম এবং  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জুরি বোর্ড গঠন সংক্রান্ত
বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, জুরি বোর্ডের কোনো সদস্য অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্যের চলচ্চিত্র এ বোর্ড থেকে বিবেচ্য বছরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচনাধীন থাকলে সংশ্লিষ্ট সদস্য জুরি বোর্ডের সদস্য থাকতে পারবেন না। একই ক্ষেত্রের অন্য কোনো ব্যক্তি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড জুরি বোর্ডকে সাচিবিক সহায়তা করবে। নীতিমালা অনুযায়ী সুপারিশ প্রণয়ন করে জুরি বোর্ড আগামী দুই মাসের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –