• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পদ্মাসেতুর ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২২  

পদ্মাসেতুর ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের উদ্যোগ           
পদ্মাসেতুর দুর্নীতি অপ্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

১৯৫৬ সালের ইনকোয়ারি অ্যাক্টের তৃতীয় অনুচ্ছেদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি সার-সংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রস্তাবে ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ (৩ ধারা) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী এ কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। সার-সংক্ষেপে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এ কমিশন গঠন করার প্রস্তাবও করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

চলতি বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। এরপর দিন থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। এর আগে, ২০১২ সালে পদ্মাসেতু প্রকল্পে উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এতে তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয় ও গ্রেফতার হন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়া। তবে পরবর্তী সময়ে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, পদ্মাসেতু নির্মাণ চুক্তির বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে এনে হাইকোর্ট বিভাগ সুয়োমোটো রুল জারি করেন। পদ্মাসেতু নির্মাণ চুক্তি সংক্রান্ত অসত্য তথ্য সৃজন করে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কমিশন গঠনের আদেশ কেন দেওয়া হবে না, সে মর্মে রুলটি জারি করা হয়। গত ২৮ জুন ঐ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রায়ের কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পায় গত ২৮ আগস্ট। আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন এবং দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দেন আদালত।

‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তাবে লিখেছে, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এরই মধ্যে সেতু বিভাগ এবং আইন, বিচারও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়। সেতু বিভাগ মতামত দেওয়া, তাদের বিভাগ থেকে এ কমিশন গঠন সমীচিন হবে না।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মতামত দেয় যে, বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কমিশন অব ইনকয়ারি আইনের অধীনে তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারে। তদন্তের বিষয়টি যে মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা কর্মপরিধিভুক্ত সেই মন্ত্রণালয় বা বিভাগ আইনের অধীন কমিশন গঠন এবং ওই কমিশনে তদন্তের বিষয় ও প্রকৃতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ এক বা একাধিক সদস্য নিয়োগ করা যেতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –