‘যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘকে শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করতে হবে’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘ বিশ্বে দারিদ্র্যমুক্তি, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে। এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখতে হলে জাতিসংঘকে শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করতে হবে।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে খারাপ অবস্থা চলছে। শক্তিশালী দেশগুলো যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এতে তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর নীতিতে বিশ্বাসী। সেভাবেই আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের কাছে সন্ত্রাসীদের অর্থায়নকারী ও অস্ত্র দাতাদের চিহ্নিত করার কথা বলেছেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণ হলে অনেক সুবিধা হারানোর কথা রয়েছে। তবে আশার খবর হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছে যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত তারা চলমান সুবিধাগুলো আমাদের দেবে। প্রযুক্তি বিষয়ে সুবিধা দেবে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি  সনজিত চন্দ্র দাস প্রমুখ।