• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাওয়া ৪ লাখ মানুষকে

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পাওয়া দুর্যোগ সহনীয় ঘরের কারণে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবের মুখেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি উপকূলীয় ১৯টি জেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষকে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিজেদের ঘরেই নিরাপদে ছিলেন তারা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গত ২ বছরে উপকূলীয় ১৯টি জেলায় ৬১ হাজার ৩৭৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর প্রদান করা হয়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় এসব ঘরে বসবাসকারী প্রায় ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো দুর্যোগ সহনীয় হওয়ায় কোনো ক্ষতিও হয়নি তাদের।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাওয়ায় তাদের দুর্যোগ ঝুঁকি কমে গেছে। এর ফলে দুর্যোগের সময় মানুষ, গবাদিপশু ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৯০ জন মানুষ এবং ৪৫ হাজার ৪৪২টি গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়। মোট ৭ হাজার ৪৯০টি আশ্রয় কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা ছিল ৪২ লাখ ৭৪ হাজার।

কর্মকর্তারা জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড বিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় ১৯টি জেলায় সর্বমোট ৬১ হাজার ৩৭৮টি ঘরের মধ্যে গোপালগঞ্জে ৩৮০৫টি, শরীয়তপুরে ২৬৬২টি, কক্সবাজারে ৩৬৪০টি, চট্টগ্রামে ৫০৪৩টি, চাঁদপুরে ৪০৮টি, লক্ষ্মীপুরে ৩২২৮টি, নোয়াখালীতে ৩৬২৮টি, ফেনীতে ১৬৫৯টি, সাতক্ষীরায় ২৯০৬টি, যশোরে ২১৫৩টি, খুলনায় ৩৯৫০টি, নড়াইলে ৮২৯টি, বাগেরহাটে ২৭৯৪টি, ভোলায় ৩৫২৯টি, পিরোজপুরে ৪৮৬৭টি, ঝালকাঠিতে ১৮৪২টি, পটুয়াখালীতে ৬৯৪১টি, বরগুনায় ২৬০০টি এবং বরিশালে ৪৮৩৪টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। ‘আশ্রয়ণ’ এবং ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪টি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ ও বেদে সম্প্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া ভাসমান বিভিন্ন জনগোষ্ঠী রয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –