• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

‘সমন্বিত উদ্যোগে দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কাজ করতে হবে’

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় কাজটি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গঠন। যেটা ছিল পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মতো একটি ধারণা। যা সারা বিশ্বে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে এবং সাইক্লোন মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বড় সক্ষমতা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকুয়েক রেজিলিয়েন্স’ সুপার (সুপার) কনসোর্টিয়াম প্রকল্প আয়োজিত দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ক আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ান এইড (একো) এর অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালায় দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ে সচিত্রে উপস্থাপনা করা হয়।

কর্মশালায় আগত অতিথিরা বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। একই  সঙ্গে জরুরি কার্যক্রম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাথমিক শনাক্তকরণের মাধ্যমে দুর্যোগের ঝুঁকি নিরসন করতে হবে।

স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকুয়েক রেজিলিয়েন্স' (সুপার) কনসোর্টিয়াম প্রকল্প, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি কৃত্তিক বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সমাধান কল্যাণপুর বস্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করেছে। যা আগুন এবং জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত দুর্যোগ ঝুঁকির আগাম পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। ফলে, দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি রোধ অনেকাংশে সম্ভব হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আলি আহমদ খান বলেন, ফায়ার সার্ভিসে কাজ করতে এসে অনেক বড় বড় দুর্যোগের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। রানা প্লাজা, এফআর টাওয়ার, চুড়িহাট্টার দুর্ঘটনার মতো ঘটনা বলে দেয় দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের দরকার প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ফায়ার সার্ভিস হয়তো দুর্যোগ পরবর্তী কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে কাজ করে। কিন্তু দুর্যোগ প্রতিরোধে কার্যকরী উদ্যোগ জরুরি। এক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ান এইড (একো) বাংলাদেশের হেড অব অফিস আন্না অরলান্ডি, ঢাকা ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গঞ্চিকারা, ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জরুরি সাড়া দান ইউনিটের প্রধান মাসুদ রানা, সুপার কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আ ম নাসির উদ্দিন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ান এইড (একো) এর অর্থায়নে, জনসাধারণ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মাঝে দুর্যোগে সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য ‘স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’ (সুপার) কনসোর্টিয়াম প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে অ্যাকশনএইড, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন। এই প্রকল্পে কৌশলগত সহায়তাকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দপ্তর (ইউএনআরসিও)।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –