• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৩  

আজ বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

এ বছর শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘The teachers we need for the education we want: The global imperative to reverse the teacher shortage’। অর্থাৎ ‘আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষক: শিক্ষকের স্বল্পতা কাটানো বৈশ্বিক দাবি।’

মূলত ১৯৯৫ সাল থেকে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোর সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশে শিক্ষকদের অবদান স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর ৫ অক্টোবর দিবসটি উদযাপন করা হয়।
 
ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়।
 
বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষে ইআই প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।
 
এদিকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরম যত্নে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধন ও নৈতিকতা বিকাশের দায়িত্ব কৃতিত্বের সঙ্গে পালন করেন। এ কৃতিত্ব শুধু শ্রেণিকক্ষেই নয়, বৈশ্বিক মঞ্চেও দৃশ্যমান। শিক্ষকদের অর্জন এবং কৃতিত্ব তাদের নিরলস সাধনার যথার্থ প্রমাণ।
 
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করতে সরকার শিক্ষকদের জন্য গবেষণা অনুদান এবং বৃত্তি-তহবিল গঠন করেছে। এ উদ্যোগ শিক্ষকদের মর্যাদা উন্নীত করার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
  
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই গভীর সত্যটি উপলব্ধি করেছিলেন বলেই শিক্ষকের মান-মর্যাদা ও জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
 
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজ উদ্যোগে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সবার শ্রদ্ধাবোধ এবং সম্মান বৃদ্ধির জন্য সচেতনতা তৈরিতে প্রাক্তন এবং বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ অংশীজনদের অংশগ্রহণে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে র‍্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –