• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ যখন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৩  

 
বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এটি রাত ৯টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। ‘হামুন’ এর কারণে এরই মধ্যে চার সমুদ্র বন্দরে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আবহাওয়ার ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটারে পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

‘হামুন’ এগিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকেও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –