রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত মিয়ানমার
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত এই আদালতে মামলার অন্তর্বর্তী রায় পড়ে শোনান আইসিজে’র প্রধান বিচারপতি আব্দুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ। সেখানেই মিয়ানমারকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন তিনি।
এদিকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারকে চারটি অন্তবর্তী আদেশ দেয়া হয়েছে। আইসিজে’র ১৭ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বিচারিক দল এই আদেশ জারি করে।
আদেশগুলো হল-
১. গণহত্যাসহ সব ধরনের নিপীড়ন থেকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেয়া।
২. রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের সামরিক আধা সামরিক অথবা এই জাতীয় কোন সংস্থা এমন কোন ব্যবস্থা বা কাজ করবে না যাতে মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে।
৩. গণহত্যার কোনো আলামত নষ্ট না করা।
৪. মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কি কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি চারমাস অন্তর অন্তর আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে পেশ করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানো এবং গণহত্যা সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আইসিজে'তে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে গাম্বিয়া। গত নভেম্বরে এই মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি উপস্থিত থাকলেও আজ আদালতে হাজির ছিলেন না তিনি। তার বদলে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন মন্ত্রী চো টিন্ট সোয়ে।
মিয়ানমার ও গাম্বিয়া উভয়েই ১৯৪৯ সালে গৃহীত গণহত্যা সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। এই সনদের বাধ্যবাধকতা পূরণে মিয়ানমারকে বাধ্য করার লক্ষ্যেই এই মামলা। তিনদিনের ওই শুনানিতে অংশ নেন অং সান সু’চির নেতৃত্বে মিয়ানমারের একটি আইনজীবী দল। রাখাইনে কোনো অপরাধ ঘটে থাকলে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমার সেগুলোর বিচার করবে বলে জানানো হয় শুনানিতে। পাশাপাশি এই বিচারপ্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করে মিয়ানমার।
শুনানিতে অন্তবর্তী আদেশ জারির বিরোধিতা করে সু চি অজুহাত দেন, অন্তর্বর্তী আদেশ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুদের সম্ভাব্য পুনর্বাসনে বাধা তৈরি করবে। পাশাপাশি এ মামলা করার এখতিয়ার নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আইসিজেতে করা গাম্বিয়ার এ মামলায় রায় পেতে কয়েক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে ‘অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ’কে এই আইনি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা পোস্টে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা অভিযান চালায় মিনায়মারের সেনাবাহিনী।
প্রাণ বাঁচাতে সেখানকার প্রায় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা ওইসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বা শরীরে পোড়া ক্ষত নিয়ে আসেন। নারীদের শরীরে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট ছিল।
পালিয়ে আসা ওই সব মানুষদের অভিযোগ ছিল, সেনাবাহিনী গ্রামের পর গ্রামে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করছে।
অভিযোগ তদন্তের জন্য ওই বছরই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বিভিন্ন দেশের তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তদল গঠন করে।
গত আগস্টে সেই তদন্তদলের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যাতে বলা হয়, সংখ্যালঘু মুসলমানদের নির্মূল করতে গণহত্যার অভিপ্রায় থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়ন করেছে।
এর আগে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন রাখাইনে রোহিঙ্গা মুলসমানদের উপর ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালানোর অভিযোগ তুলে মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং এবং আরো পাঁচ জেনারেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করতে বলেছিল।
তখন মিয়ানমার ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- বোদায় উম্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত
- তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অবসরের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রি
- সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম: মিষ্টি জান্নাত
- কোরআন-হাদিসে মায়ের অধিকার
- আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ হবে ২৫ শতাংশ
- কৃষি নিয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী
- ‘সরকার-নাগরিক পার্টনারশিপ হলে নগরের সমস্যা দূর হবে’
- আস্থা পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যেই এই সফর: ডোনাল্ড লু
- জুলাইয়ে শুরু হচ্ছে বিডিএসের ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি: ভূমিমন্ত্রী
- ১৫৭ উপজেলায় তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ
- ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
- সৌদি পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ হজযাত্রী
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- গ্রিডের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ৩ সঞ্চালন লাইন চালু
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- সৌন্দর্য ধরে রাখতে নজর দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসে
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি`র ফল হস্তান্তর
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ জন হজযাত্রী
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান