• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নাফতালি বেনেতকে ধমকালেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী 

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২১  

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেছেন, তার দেশ থেকে সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরায়েল সংখ্যালঘু ইহুদি নামধারী যেসব মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে তারা আসলে টাইগ্রে বিদ্রোহী এবং যুদ্ধাপরাধী। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেতকে টেলিফোন করে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা আল-কুদস আল-আরাবি জানিয়েছে।

টেলিফোনালাপে আবি আহমেদ ব্যাপকভাবে উত্তেজিত হয়ে যান এবং বেনেতের সঙ্গে ধমকের সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, যাদেরকে অভিবাসনের নামে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা টাইগ্রে গণহত্যায় জড়িত ছিল এবং ইথিওপিয়ার আদালতে তাদের বিচার হওয়ার কথা রয়েছে। এ ধরনের যুদ্ধাপরাধীদের ইসরাইলে আশ্রয় দেয়ার জন্য তিনি ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীর তীব্র নিন্দা জানান।

একটি নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরাইলের ১৩ নম্বর টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, গত বছর ইথিওপিয়ার যেসব ইহুদিকে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত চারজন টাইগ্রে গণহত্যায় জড়িত বিদ্রোহী কর্মকর্তা। এর আগে ইসরায়েলি দৈনিক হারেতজ জানিয়েছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শাসনামলে যাদেরকে টাইগ্রে অঞ্চল থেকে গোপনে ইসরায়েলে আনা হয় তাদের অনেকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীই নয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বিশ্বে ইহুদিদের কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল করে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদীরা ইহুদিবাদীদেরকে ইসরায়েল নামক একটি জারজ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দেয়। তখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ইহুদিদের ধরে এনে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়িতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেয়া হয়।

ইসরায়েল নামক অবৈধ রাষ্ট্রের অধিবাসীরা মূলত এভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ইহুদি অভিবাসী। ইসরায়েলে ইথিওপিয়া থেকে আগত এরকম এক লাখ ৪০ হাজার ইহুদি অভিবাসী রয়েছে। এদের মধ্যে ৮০ হাজারকে আনা হয় ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –