জটিল ভাইরাস গবেষণায় সক্ষম বাংলাদেশ: অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর প্রায় ১৭ হাজারের বেশি জিনোম সিকোয়েন্স (জিন রহস্য) উন্মোচন করা হয়েছে। এখনো অনেকেই জিনোম সিকোয়েন্সের চেষ্টায় আছে। তবে এই চেষ্টায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। দেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)। প্রতিষ্ঠানটির অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে একদল গবেষক এই গবেষণার কাজটি সম্পন্ন করেন।
এই গবেষণায় তার সঙ্গী ছিলেন রলি মালাকার, সাইফুল ইসলাম সজীব, হাসানুজ্জামান, হাফিজুর রহমান, শাহিদুল ইসলাম, জাবেদ বিন আহমেদ এবং মাকসুদা ইসলাম। দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার মাঝেও মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়া এই সুখবর জনগণের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি, পরিবর্তনের ধরন ইত্যাদি জানতে পারবেন গবেষকরা। সেই সঙ্গে জানা যাবে- আমাদের জন্য কার্যকরী হবে কোন ওষুধ। এই সফলতার খবর এবং ভবিষ্যতে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে ভোরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন সিএইচআরএফের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা। যিনি অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার পিতাও বটে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সেবিকা দেবনাথ-
করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করার কাজটি কবে থেকে শুরু করেছিলেন?
এ ধরনের ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং বেশ জটিল। বেশিরভাগ সময় বিদেশে নমুনা পাঠিয়ে তাদের মাধ্যমেই জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। এই কাজে অনেক সময় আমরাও যুক্ত হই। আবার অনেক সময় হই না। আমাদের সিএইচআরএফের যে গবেষক দল তারা বয়সে তরুণ ও খুব উদ্যোমী। তারাই এই কঠিন কাজটি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এপ্রিলের শেষের দিকে তারা নমুনা নিয়ে কাজটা শুরু করে। নিয়ম অনুযায়ী, ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করার পর তার তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডাটাবেজ, জিআইএসএআইডিতে জমা দেয়া হয়েছে এবং এর তথ্য উপাত্ত সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আমি বলব এই তরুণরা উদ্যোগ নিয়েছিল বলেই আজকের এই সফলতা।
গবেষণার এই কাজে কাদের সহযোগিতা পেয়েছেন?
আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করি। এই গবেষণা কাজে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, বিল এন্ড মেলিন্ড ফাউন্ডেশন, চ্যান-জাকারবার্গ বায়োহাব ইনিশিয়েটিভের সর্বিক সহযোগিতা পেয়েছি।
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নিয়ে একটি বিতর্ক আছে। কোন দেশের ভাইরাসের সঙ্গে কোন দেশের ভাইরাসের মিল পেয়েছেন?
প্রতিটা ভাইরাস একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরপর তার জিন বদলায় (মিউটেশন)। করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও তেমনটি পেয়েছি। আমরা পরশু দিনই এটি আপলোড করেছি। এখনো বিস্তারিত বিশ্লেষণে যেতে পারিনি। তবে যতটুকু দেখেছি তাতে বোঝা গেছে, আমাদের দেশে আসার পর এই ভাইরাসটির ৯ বার মিউটেশন হয়েছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশেও এই ধরনের চরিত্রের ভাইরাস পাওয়া গেছে। যেমন; সুইডেন, তাইওয়ান, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও সৌদি আরব। এর কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক এসেছে। তাই ওই সব দেশের ভাইরাসের ধরনের সঙ্গে আমাদের দেশের ভাইরাসের ধরনের মিল পাওয়া যাচ্ছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে এই জিনোম সিকোয়েন্স আমাদের কীভাবে সহযোগিতা করবে?
এর ফলে বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ, বিস্তার, আচরণ ও পরিবর্তনের ধরনগুলো জানা যাবে। আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য তা কতটা ভীতিকর ও দুর্বল তাও বোঝা যাবে। একই সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলে ভবিষ্যতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে যে ধরনের ভ্যাকসিন আসবে সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটা কার্যকরী হবে তাও সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
কতগুলো সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব?
চলতি সপ্তাহে একটি এবং আগামী সপ্তাহে আরো একটি জিনোম সিকোয়েন্স করার কাজ শেষ হবে। আশা করছি আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে আমরা ৬০ থেকে একশটি সিকোয়েন্স করব। তখন আরো অনেক বেশি জানাতে পারব এবং প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে পারব।
এই সফলতায় অনুভূতি কী?
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কয়েকটি দেশ, চীন এবং ভারতেও ওইসব দেশের প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাসের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন সেসব দেশের গবেষকরা। করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স বাংলাদেশেও উন্মোচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো এ ধরনের গবেষণার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশে বসে এ ধরনের গবেষণা করতে পারে। এটাই আমাদের প্রাপ্তি এবং অহঙ্কারের জায়গা।
- কুয়াশা ভরা মিষ্টি ভোরে
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৮২
- শীত নামেনি পঞ্চগড়েও
- ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের করোনা শনাক্ত
- সিঙ্গাপুরের জালে দুই হালি গোল বাংলাদেশের
- দিনাজপুরে স্ত্রীর অপারেশন করাতে যাওয়া পথে প্রাণ গেল স্বামীর
- কুড়িগ্রামে কবর খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো সাদা কাপড়ে মোড়ানো পুতুল-তাবিজ
- পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- তদন্ত কমিটির মুখোমুখি ক্রিকেটাররাও
- বুবলীকে নিয়ে ‘লজ্জিত’ শাকিব খান
- সালাতুদ দুহা বা চাশতের নামাজের নিয়ম ও ফজিলত
- ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে ১১ আরোহী নিহত
- ফিলিস্তিনের হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না: বোরেলের স্বীকারোক্তি
- এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, সাগর বিক্ষুব্ধ
- নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- নিশ্চিত পরাজয় জেনেই ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আদর্শ নির্বাচন আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিমানের ফ্লাইট বেড়েছে
- নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
- নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ইইউ
- বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী
- এশিয়া ক্লাইমেট চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর
- আজ থেকে ১২ দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ নিষেধ
- সারাদেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- স্বাস্থ্যসেবার আধুনিকায়নে আসছে ‘হেলথ কার্ড’
- মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন আজ
- পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ
- ফ্রিজে রাখা টমেটো খেলে হতে পারে বিপদ
- শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়
- শিক্ষাক্রমে ‘ব্যাঙের লাফ, হাঁসের ডাক’ মিথ্যাচার, জানালো এনসিটিবি
- শুধু শীতে নয়, রূপচর্চায়ও কাজে লাগে পেট্রোলিয়াম জেলি
- ওপেন এআই এর ১০০ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ বন্ধের মুখে
- লালমনিরহাটে চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব
- কিছু লোক লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
- নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
- শুরু হলো হজের নিবন্ধন, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত
- দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান ম্যাচে যেমন হবে আবহাওয়া
- ‘ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে বুড়িগঙ্গা মঞ্চ ভূমিকা রাখবে’
- ‘আমার চোখে আজকের বাংলাদেশ’ ভিডিও কনটেন্ট প্রতিযোগিতা
- পঞ্চগড়ে নৌকার মাঝি যারা
- অগ্নিসন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
- নভেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল: ইসি সচিব
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত সাড়ে ১০ হাজার ছাড়ালো
- পঞ্চগড়ে ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- জনজীবনে অবরোধের প্রভাব পড়েনি রংপুরে
- আত্মহাত্যকারীর জন্য দোয়া করা কি জায়েজ?
- দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- পঞ্চগড় কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ উদযাপন
- ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত ৩৯ ফিলিস্তিনি
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু