• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় 

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২১  

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় বইছে শীতের আমেজ। কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের দিক থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে জেলাজুড়ে। আর মধ্যরাতের পর থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারপাশ।

আগাম শীত অনূভুত হওয়ায় তাপমাত্রা কমছে, যা নভেম্বর মাসের শেষের দিকে আরও কমবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। অন্যদিকে শীত অনূভুত হওয়ায় দিন দিন গরিব অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়ছে চরম দুর্ভোগে।
 
রোববার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও হত শুক্রবার ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

জানা যায়, ঋতু বৈচিত্র্যের এ দেশে শীত আসতে আরও মাসখানেক বাকি থাকলেও পঞ্চগড়ের ৫ উপজলাজুড়ে বইছে এখন হিমেল হাওয়া। পঞ্চগড় হিমালয়ের কাছাকাছি হাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জেলাটিতে শীতের আমেজ শুরু হয়। এবারও কিছুদিন ধরে সন্ধ্যার পর হিম হাওয়া ও কুয়াশাছন্ন ভোরে জমে থাকা স্বচ্ছ বিন্দু জানান দিচ্ছে আগাম শীতের বার্তা।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবার জেলাটিতে শীত তাড়াতাড়ি এলেও এবার বর্ষা যেতে না যেতে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। কয়েক দিন ধরে এ জেলায় গড় তাপমাত্রা ২৬ থেকে ১৬ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তবে নভেম্বর মাসের শুরু বা মাঝামাঝিতে তাপমাত্রা নিম্ন ও তীব্র শীত অনূভুত হবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস জানায়, হিমালয় নিকটবর্তী হওয়ার আগে প্রতিবছর এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এ জেলায় শীত দীর্ঘ সময়জুড়ে অবস্থান করে। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে এবং রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা কুয়াশা পরিলক্ষিত হয়।
কথা হয় তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পাথরশ্রমিক মালেকা বানুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত করে। আমরা গরিব মানুষ, শীত আসলে অনেক কষ্ট হয়। প্রতিবছর সরকার শীতের কাপড় দেয় কিন্তু আমরা পাই না।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তেঁতুলিয়ায় অক্টোবর মাসের শুরু থেকে সন্ধ্যার পর শিশিরবিন্দু পড়ার কারণে শেষরাতে শীত অনূভুত হয়। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় হওয়ায় এ জেলায় তীব্র শীত অনূভুত হয়।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, শীত মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি শীত অনূভুত হয়। তাই কনকনে শীতে দুস্থরা যেন দুর্ভোগে না পড়ে তাই স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যােগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবং শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালায়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –