• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তেঁতুলিয়ার খামারিরা গোখাদ্যের সংকটে

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

তেঁতুলিয়ায় কমে গেছে গোচারণভূমি। ফলে গোখাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় গবাদি পশু পালনে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা। বিগত দুই দশকে চাশিল্পের বিপ্লবের কারণে পতিত জমিগুলো হয়ে উঠেছে চাবাগান। অন্যদিকে রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে মেরে ফেলা হচ্ছে সবুজ ঘাস। গোখাদ্যে সংকট ও চড়া দামের কারণে চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার খামারিরা।

ঘাসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালিন সময়ে বিভিন্ন প্রকার সবজি পাতাকপি, কপির পাতা গোখাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আবার খেতে ফল আসার আগেই ভুট্টা ও গমের গাছ কেটে কেটে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন অনেকে। জানা গেছে, কৃষকরা লাভবানের আশাতেই বাজারে নিয়ে আসছেন। আর চড়া দামেই কিনে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতা খামারিরা। ঘাস বিক্রেতা জহুরুল জানান, কৃষকদের কাছে বেশি দামে ধানের শুকনো খড়, পাতাকপি, নেপিয়ার ঘাস বিক্রি করছি। এই সময় সবুজ ঘাসের খুবই সংকট। বেশি দামে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে খামারিদের ঘাস কিনে গরু/ছাগল পালন করা খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডেইরি খামার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হানিফ বলেন, এ এলাকায় চাবাগান বৃদ্ধির কারণে কোনো ফাঁকা মাঠ নেই। যার কারণে সবুজ ঘাস মিলছে না। আর বাজারে যেসব গোখাদ্য পাওয়া যাচ্ছে তা চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক খামারি তাদের খামার ছোট করে আনছেন। বাজারে দুধের দামও কম। তাই গোখাদ্যের চড়া দামে কিনে লোকসানেই পড়তে হচ্ছে। তবে যেসব খামারির জমি রয়েছে, তাদের নেপিয়ার ঘাস উত্পাদনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার মাগুড়া গ্রামের হাসিবুল হক জানান, চারণ ভূমি না থাকায় বাড়িতেই পালতে হচ্ছে ১২টি গরু। সবুজ ঘাস পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। শুকনো খড়ও খাওয়াতে হচ্ছে। কিন্তু খড়েরও অনেক দাম। বেড়ে গেছে খইল, ভূসি ও ফিডের দামও। পর্যাপ্ত খাবার নিতে না পারায় ছাগল বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। একই কথা জানান মমিনপাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেন মতু।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মাহবুবুর রহমান জানান, আগে এ এলাকায় যেসব জায়গাগুলো গোচারণ ভূমি ছিল সেগুলো এখন চা বাগান হয়ে গেছে। এতে চারণ ভূমি কমে গেছে। এজন্য গবাদি পশু বিচরণের ভূমি কমে গেছে। সবুজ ঘাস পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না। তবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে কৃষকদের গোখাদ্য উত্পাদনে উন্নতমানের নেপিয়ার ঘাস লাগানোর জন্য উত্সাহ, পরামর্শ, প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে গোখাদ্যের সংকট কাটানো সম্ভব হয়। 
কে/

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –