• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মূল অভিযুক্তসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২  

বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ডেকে নেন প্রেমিক। কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ের কথা থাকলেও রাতের অন্ধকারে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর এক নির্জন চা-বাগানে প্রেমিকসহ কয়েকজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। মামলায় দুজন গ্রেপ্তার হলেও মূল আসামি ছিলেন লাপাত্তা। ঘটনার ২০ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় আটোয়ারী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হাসানকে সন্ধ্যায় উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে তাকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ এখন পর্যন্ত আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। অপর দুই আসামি মো. রাজু (১৯) ও সাইফুল ইসলামকে (৪৮) মামলার পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয়। ৮ আগস্ট তাদের দুজনকে আদালতে হাজির করলে তারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ৬ আগস্ট গভীর রাতে জেলার আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে একটি চা-বাগানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চার দিন থাকার পর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে কিশোরী বাড়িতে চলে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা প্রেমিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে  থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় আটোয়ারী উপজেলার মালগোবা গ্রামের মৃত আমিবার রহমানের ছেলে প্রেমিক হাসান (২৫), একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে সবুজ (৩০), আব্দুল রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম ডিপজল, খাজিম উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), কৈলাসের ছেলে অমর এবং একই এলাকার আব্দুর রহমান।

জানা যায়, হাসানের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয় কিশোরীর। গত শনিবার সকাল ১০টায় ওই কিশোরী স্কুলে যাওয়ার সময় ফোনে কথা হয় প্রেমিক হাসানের সঙ্গে। বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় পঞ্চগড় শহরে। পরে কাজী অফিসে না গিয়ে কৌশলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে নেওয়া হয় আটোয়ারী উপজেলার বন্দরপাড়ার গ্রামের এক চা-বাগানে। 

সেখানে নিয়ে প্রথমে হাসান ও পরে তার বন্ধু সবুজ তাকে ধর্ষণ করে। তারা দুইজন পালিয়ে গেলে সেখানে থাকা বাকি তিনজনও কিশোরীকে ধর্ষণ করে চলে যায়।

পরে গভীর রাতে ওই এলাকা থেকে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যান। পরে পুরো ঘটনা খুলে বললে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। ভোরে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করানো হয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –