• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আটোয়ারীতে মরিচ ক্ষেত উপড়ে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩  

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মরিচ ক্ষেত উপড়ে ফেলার উভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে ধামোর ইউনিয়নের বাটগজ মোল্লাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটোয়ারি থানা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ওই গ্রামের মরিচ চাষী শহীদুল ইসলাম। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের জাহেদুল ইসলামের পরিবারের তার দীর্ঘদিন থেকে জমি যায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। কয়েকটি মামলাও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি পৈত্রিক সূত্রে মালিকানায় সোনাপাতিলা মৌজার ৫৯৮ হাল খতিয়ানের ৮০৭৪ দাগের ১ একর ১৬ শতক জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করছেন। ওই জমিতে গত ২১ ডিসেম্বর  তার বর্গাচাষিরা মরিচের চারা রোপন করা শুরু করেন। অর্ধেক জমিতে মরিচের চারা লাগানো শেষ হলে রবিবার সকালে প্রতিপক্ষ জাহেদুল ইসলামের ছেলে ওবায়েদ কাওছার বাঁধনসহ কয়েকজন লোক এসে মরিচের চারা রোপন করতে বাঁধা দেন। তাদের বাঁধা না মানলে একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে প্রতিপক্ষরা মরিচের চারা উপড়ে ফেলতে শুরু করে। এসময় আধাবিঘা জমিতে রোপন করা মরিচের চারা উপড়ে ফেলেন তারা। শহীদুল ইসলাম জানান, আমি একজন মরিচ চাষি। চাষাবাদ করেই আমরা চলি। জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে চারাগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। আমাকে মেরে ফেলতো ওরা। স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশি আমাকে বাঁচিয়েছে। 

তবে মরিচ খেত উপড়ে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওবায়েদ কাওছার বাঁধন। তিনি বলেন, ওরা আমাদেরকে দীর্ঘদিন থেকে মামলা হামলায় হয়রানি করছে। আমরা মরিচের চারা উপড়ে ফেলিনি। আমরা ওখানে ১ শতকের কম জমি পাবো। সীমানা ঠিক করে মরিচ খেত লাগাতে বলতে গেছি। ওরাই আমাদেরকে মারতে এসেছে। 

ধামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের দুলাল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচনের পর ভূমি জরিপ আমিন এনে জমি মেপে শালিস করা হবে। দুইপক্ষকেই বলেছি শান্ত থাকতে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –