• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

মোবাইল চুরির অপবাধে নারীকে বেঁধে নির্যাতনের অভিয়োগে গ্রেপ্তার-১

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৪  

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মোবাইল চুরির অপবাদে এক নারীর (২৬) কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতন ও নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে বোদা থানায় আব্দুল জব্বার (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অপরাধে ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অপরাধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।

মামলার পরপর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামি জাহানারা বেগমকে (২৭) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই নারীর বাড়ি উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ঝলঝলি চড়িয়া পাড়া (শিয়াল পাড়া) গ্রামে। তিনি ওই এলাকার আব্দুল জব্বারের স্ত্রী। 

মামলার এজহার ও ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে সকালে ভূক্তভোগী নারী তার দাদির বাড়িতে (বাবার খালার বাড়ি) উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের মানিকপীর এলাকায় বেড়াতে যান। সেখানে দুই দিন অবস্থান করার পরে ৮ মে বিকেলে তার দাদির দেওয়া মুঠোফোন নিয়ে উপজেলার ঝলঝলি শিয়ালপাড়া এলাকায় বাবার বাসায় চলে যান। পরে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে তার দাদির দেওয়া মুঠোফোনটি নিয়ে পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের উদ্দেশে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে রওনা হন। বিষয়টি টের পেয়ে জব্বারসহ কয়েকজন তাকে উপজেলার জেমজুট বাজারে তার পথরোধ করেন। মামলার প্রধান আসামি আব্দুল জব্বারের নির্দেশে অন্য আসামিরা ভুক্তভোগী নারীকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এ সময় জাহানারা বেগম ওই নারীকে হত্যার উদ্দেশে গলা চেপে ধরেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। নারী মারধরের কারণ জানতে চাইলে আসামি জব্বার তার মায়ের মোবাইল চুরির কথা বলেন। 

ওই নারীর পরনের ওড়না দিয়ে দুই হাত বাঁধেন জব্বারসহ অন্যরা। একপর্যায়ে কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে ইজিবাইকে করে জব্বারের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। রাতে নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

উপজেলার জেমজুট বাজারে ওই নারীকে মারধরের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে এর সূত্র ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেপ্তার জাহানারা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –