• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

ইউপি নির্বাচন নিয়ে বর্ণচোরা রাজনীতিতে বিএনপি 

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২১  

স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বিএনপি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা না থাকার অজুহাতে দলটি আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

তবে ভোট বর্জনের এমন ঘোষণা দিলেও মাঠে বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র বর্ণচোরা। ধানের শীষ নিয়ে মাঠে না থাকলেও ভোটের মাঠে ঠিকই সক্রিয় রয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিএনপির ভোটব্যাংক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় কেউ মাঠ ছাড়ার পক্ষে নেই।

ফলে যেখানে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে, সেখানে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে বেশি আশাবাদী বিএনপি প্রার্থীরা। ধানের শীষ ছাড়াই নির্বাচন করতে না পারার মনোবেদনা থাকলেও কৌশলের রাজনীতিতে তারা এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।

দলের নীতিনির্ধারক ও সারাদেশের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান ইউপি নির্বাচনে সারা দেশে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি দলীয় প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে এরই মধ্যে অনেকে সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্রও।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড অনেকটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। কৌশলের অংশ হিসেবে কেন্দ্র থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হলেও কেউ নির্বাচন করলে তাদের বহিষ্কার বা শোকজ করা হবে না।

কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত জানার পর বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনেও অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে ছিলেন। কেউ কেউ জয়লাভও করেছেন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। যেসব ইউপিতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছে সেখানে বিএনপির তৎপরতা কিছুটা কম।

তবে যেখানে ক্ষমতাসীনদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে সেসব ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে বেশি সক্রিয় রয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দ্বন্দ্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে বিজয় অর্জনের কৌশলে তারা মনোযোগী হচ্ছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা সব ধরনের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের কাউকে অংশ নিতে আমরা যেমন জোর করব না, তেমনি কেউ স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করতে চাইলে বাধাও দেবো না।

তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় আর স্থানীয় রাজনীতি এক নয়। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিলেও স্থানীয় পরিস্থিতির কারণে সব জায়গায় তা শতভাগ বাস্তবায়ন নাও হতে পারে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপির রাজনীতি বর্ণচোরা। ইউপি নির্বাচনেও দলটি পরিচয় লুকিয়ে অংশ নিচ্ছে। 

এ দলের নেতারা প্রকাশ্যে যা বলেন, তা করেন না। আর যা গোপনে করেন, তা প্রকাশ্যে বলেন না। তাই জনগণ বিএনপির দ্বিচারিতা বুঝতে পেরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে ১১ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ অক্টোবর। এর আগে প্রথম ধাপে (দু’ভাগে) ৩৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –