অর্থনীতি সচল রাখতে টিকায় গুরুত্ক দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২১

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার ঘোষণা দেয় সরকার। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় গত বছর টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জরুরী সেবা, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সংকুচিত হওয়ায় চাপের মুখে পড়ে অর্থনীতি। এরপর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার জোগান দেয় সরকার। সরকারী ও বেসরকারী খাতের নানা প্রচেষ্টায় অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ। এ সংক্রমণ ঠেকাতে গত এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে তিন দফায় ২৪ দিনই দেশ ছিল কঠোর বিধিনিষেধের জালে। বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এতে সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী অফিস বন্ধ আছে। এছাড়া সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বন্ধ আছে শপিংমল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চালু আছে পুঁজিবাজার, ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। চলমান লকডাউনে জরুরী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বাদে তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এতে ঈদের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ ১৮-২০ দিনের জন্য বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় উদ্বেগ তৈরি হয় রফতানিমুখী শিল্প মালিকদের মধ্যে। এতে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, পণ্য বিমানে পাঠানোর মতো আর্থিক লোকসানের বিষয় তুলে এ নিয়ে শুরু থেকেই সরকারের কাছে কারখানা খুলে দেয়ার প্রস্তাব দেন পোশাক শিল্প মালিকরা। এর মধ্যে ঈদ উদযাপন করতে দলে দলে বাড়ি যান শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, কেবল পোশাক খাতের শ্রমিকই ঢাকা ছেড়েছে ২০ লাখের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা হুট করেই গত শুক্রবার রফতানিমুখী পোশাক কারখানা ১ আগস্ট থেকে চালু হবে বলে ঘোষণা আসে। শনিবার ভোর থেকেই ভোগান্তি সঙ্গে করেই পোশাক খাতসহ অন্য শিল্পের শ্রমিকরা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, অটোরিক্সা, রিক্সা আর হেঁটেই কর্মস্থলের পথে রওনা দেন।
শিল্পাঞ্চল পুলিশের ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন কারখানার সংখ্যা সাত হাজার ৪৯১টি, যেখানে শ্রমিক সংখ্যা ৩৯ লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের কারখানার সংখ্যা তিন হাজার ৪৪৫টি। এর বাইরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত ৩৯৯টি কারখানাও রয়েছে, যারা রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে অন্যান্য খাতের রফতানিমুখী কারখানার সংখ্যা শিল্পাঞ্চল পুলিশের হিসাবে আলাদাভাবে দেয়া নেই। শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, ‘রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব কারখানাই চালু হয়েছে। এছাড়া লকডাউনের আওতা বহির্ভূত অন্যান্য কারখানাও চালু ছিল।’
এ খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কারখানা খোলার প্রথম দিন ৮৫-৯০ শতাংশ শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘কারখানাগুলোতে ৮০-৯০ শতাংশ শ্রমিকের উপস্থিত ছিল। কোন কোন কারখানায় ৯৫ শতাংশ শ্রমিকও উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি। আশা করছি, ‘৫ তারিখের পর লকডাউন শিথিল হলে পুরোদমে কাজ শুরু করা যাবে।’
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর সাধারণ ছুটি এবং লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি বন্ধ থাকায় দীর্ঘ হচ্ছে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ।
গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৭০ দিন দোকানপাট বন্ধ ছিল। আর সব মিলিয়ে গত দেড় বছরে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৭০ কোটি টাকা।
সমিতির তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে ৫৫ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন। এ খাতে কর্মচারী আছেন দুই কোটির বেশি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি এই খাতসংশ্লিষ্ট অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এজন্য আগামী ৫ আগস্টের পর দোকান খোলার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেস্তরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান করোনা মহামারীতে দোকান বন্ধ রাখায় আর্থিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চলমান লকডাউনে ৮০-৯০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সারাদেশে ৬০ হাজার রেস্তরাঁয় ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনায় সারাদেশে ৮০ ভাগ রেস্তঁরা বন্ধ রয়েছে।
টিকায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে ৪০ লাখ পোশাককর্মী ॥ গত এক দশকে বাংলাদেশের রফতানি আয় বেড়েছে ৮০ শতাংশ। এর নেপথ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত। অথচ শুরুতে করোনার টিকাদানে অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল না এ খাতের কর্মীরা। তবে এখন তাদের টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ খাতের ৪০ লাখ কর্মী টিকায় অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।
অন্য শিল্পকারখানার কর্মীদেরও টিকার আওতায় আনার দাবি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) তথ্যানুযায়ী, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় মোট শ্রমিকের সংখ্যা ছয় কোটি ৩৫ লাখ। এর মধ্যে সরাসরি কর্মসংস্থানে যুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ছয় কোটি ৮০ হাজার। তাদের এক কোটি ২৫ লাখ শ্রমিক শিল্প খাতে কাজ করছেন। পোশাক উৎপাদন ও রফতানিকারক উদ্যোক্তাদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর নেতাদের দাবির মুখে এ খাতের ৪০ লাখ শ্রমিক টিকা পেলেও অন্য রফতানি ও শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বিষয়ে নিশ্চয়তা মেলেনি।
- পৃথিবীতে ফিরে এলেন সৌদির সেই নারী নভোচারী
- ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা আজ
- সরকারের ঋণ কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা থাকছে বাজেটে
- সংসদ ভাঙলেও বহাল থাকবে সরকার
- সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৪০ হাজার ৬৬৩ হজযাত্রী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ করুন- প্রধানমন্ত্রী
- ‘পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হয়েছে’
- ৫৭ ইউপিতে ভোট ১৭ জুলাই
- প্রাথমিকে ৪-১০ জুন কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে
- জুনে সুইজারল্যান্ডে সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে বাড়তি ২ মিলিয়ন টন এলএনজি দেবে কাতার
- প্রবাসীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- `বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ`
- ‘সরকার দেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’
- বেরোবিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
- সরকারি খরচে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত
- ফের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি, কয়েকদিন অব্যাহতের শঙ্কা
- শিগগিরই সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে: নিজামুল হক
- শিশুদের উন্নয়নে কাজ করবে শিশু কল্যাণ বোর্ড: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- বাংলাদেশি শিশুর চিঠির জবাব দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
- মহার্ঘ ভাতা চিরতরে দূর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- দেশের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে: পাটমন্ত্রী
- মুক্তিযুদ্ধে অভিনেতা ফারুকের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী
- শিশুদের উন্নয়নে কাজ করবে শিশু কল্যাণ বোর্ড: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- গরমে ত্বক থাকুক ঘামাচিমুক্ত
- মূল্যবোধ সৃষ্টিতে শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে: দুদক কমিশনার
- `এশিয়ায় সবচেয়ে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি বাংলাদেশে`
- সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
- ঈদে সদরঘাটে যাত্রী সামাল দিতে প্রস্তুত আছি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- স্বাস্থ্যখাতে ৩ বছরে ৭০ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে
- ‘উন্নয়নে কোরিয়ার সাফল্য বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করেছে’
- দেশকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছেন শেখ হাসিনা: আইনমন্ত্রী
- মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হবে না: ওবায়দুল কাদের
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ ছাত্রলীগের
- করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৭
- `নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে`
- পঞ্চগড়ে বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠায় বিজিবির আপত্তি নেই: মহাপরিচালক
- দাপট দেখাবে কালবৈশাখী, বৃষ্টিতে ভিজবে সব বিভাগ
- দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন
- চলতি হজ মৌসুমের নতুন লোগো প্রকাশ
- দেশে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে
- কূটনীতিকদের আনসার কীভাবে নিরাপত্তা দেবে, তা চূড়ান্ত
- গাজীপুরে শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট হচ্ছে: ইসি আলমগীর
- ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উন্নয়নই একটি দেশের মূল উন্নয়ন’
- মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে অভিযান
- ‘নিজেকে জনগণের সেবক মনে না করলে চাকরি করার দরকার নেই’
- বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া, হুমকি দিয়ে শ্বশুরবাড়ি ভাংচুর করল ঘরজামাই
- তিন ক্যাটাগরির প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ‘সরকারি স্কুল’ লেখার অনুমতি
- কুড়িগ্রামে পৃথক অভিযানে ১৭ জন গ্রেফতার