• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

অহংকারীদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

অহংকারীদের মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত করবেন। পরকালে অহংকারীদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম।
অহংকার হলো কোনো কিছুর বড়াই বা গৌরব করা। সামাজিক প্রভাব-প্রতিপত্তি, বংশমর্যাদা ও ধনসম্পদের গর্বকারী, অহংকারী, দাম্ভিক, হিংসুক ব্যক্তিকে আল্লাহ অপছন্দ করেন। আর যাদের আল্লাহ অপছন্দ করবেন, তাদের জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে। 

পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, 

‘আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক কোরো না। আর সদ্ব্যবহার করো মা-বাবার সঙ্গে, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে, এতিম-মিসকিন, নিকটাত্মীয় প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসিদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না দাম্ভিক ও অহংকারীকে।’ (সূরা: নিসা, আয়াত: ৩৬)।

অহংকারী ব্যক্তির নেক আমল থাকা সত্ত্বেও জান্নাতের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অহংকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হবে। অহংকার পতনের মূল। অহংকার ধ্বংস ডেকে আনে। অতীতে যারাই আল্লাহর জমিনের ওপর দম্ভ করে চলাফেরা করেছে, তাদের সবাই ধ্বংস হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে আরো ইরশাদ হয়েছে, 

‘অহংকারীকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ করো সেখানে চিরকাল অবস্থানের জন্য, কতই না নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল।’ (সূরা: জুমার, আয়াত :৭২)। কোরআনে অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘আমি অনেক জনপদ ধবংস করেছি, যার অধিবাসীরা তাদের জীবন যাপনে মদমত্ত ছিল। এগুলোই এখন তাদের ঘর-বাড়ী। তাদের পর এগুলোতে মানুষ সামান্যই বসবাস করেছে। অবশেষে আমিই মালিক রয়েছি।’ (সূরা: কাসাস, আয়াত: ৫৮)।

পবিত্র কোরআনে আরো বলা হয়েছে,

‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সূরা: লুকমান, আয়াত: ১৮)। ‘পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ (সূরা: লুকমান, আয়াত: ১৯)।  হজরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি অহংকার করে আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।’ 

ইবনে শুয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন অহংকারীদের ক্ষুদ্র পিপীলিকার মতো জমা করা হবে।’ (তিরমিজি-মেশকাত, পৃ: ৪৩৩)। ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, ‘যার অন্তরে সামান্য পরিমাণ অহংকার থাকবে। সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ মুসলিম :১৬৭)।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –