আইএসআই (ISI)-কে সঙ্গে নিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে বিএনপি

বাংলাদেশের গোপন সংস্থা নেক্সাস সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যে, প্রো-জিহাদবাদী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্ট্যালিজেন্সি (আইএসআই) বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা করেছিল।

বাংলাদেশ সংবাদপত্র ব্লিটস জানায় যে, সম্প্রতি বিএনপি ও পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা সংস্থা এআরওয়াই (ARY)-এর মধ্যে আলোচনার কথা একটি গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, তৌহিদুল ইসলাম ওরফে আসিহক ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি ৪ ডিসেম্বর এআরওয়াই ডিজিটালের একজন কর্মকর্তাকে "প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তহবিলের" তাত্ক্ষণিক স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেন এবং বলেন যে এই তহবিল "পরিকল্পনাটির প্রয়োজন"।

ব্লিটস-এর মতে, বগুড়া জেলার অধিবাসী তৌহিদুল বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তিনি ২০০১-২০০৬ সালের বিএনপি শাসনামলে কুখ্যাত হাওয়া ভবনের সাথে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বিএনপির নেতা তারেক রহমানের "একান্ত ব্যক্তিগত দলের" এর অন্তর্গত ছিলেন।

তৌহিদুল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন সেই সময় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

একটি বিশ্বাসযোগ্য সুত্র মতে, আইএসআই যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি আদালতের কয়েকজন সদস্যেকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। এখন এটি ধারনা করা যাচ্ছে যে, পাকিস্তানী নিরাপত্তা সংস্থা বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ (সংসদ) নির্বাচনে তাদের আশঙ্কাজনক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে।

মনে হচ্ছে যে বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএসআই কর্মীরা তাদের কার্যক্রম বাড়িয়েছে এবং নিয়মিত বাংলাদেশে তাদের এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, একটি সূত্র ব্লিটসকে বলেছিল যে আইএসআইআই বাংলাদেশি রাজনীতি ও প্রশাসনে তাদের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি-জামাতের সহতায়।

ব্লিটস এর মতে, আইএসআই এর প্রভাবের কারণে, বাংলাদেশী প্রচার মাধ্যমের একটি প্রধান অংশ ইতিমধ্যে আইএসআইএ এবং বিএনপি-জামায়াত-বিরোধী সংবাদ সামগ্রী এড়াতে শুরু করেছে। তারা আরও বলেন ক্ষমতাশীল দলটি এই গভীর ষড়যন্ত্র ও তার পরিণতি সম্পর্কে অনেকটাই অসচেতনতায় রয়েছে।

তাই আসন্ন নির্বাচন সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।