আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২১
আল-কোরআন বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনা ও গবেষণায় আল-কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তাই কেউ কেউ কোরআনকে বিজ্ঞানময় কিতাব বলে অভিহিত করেছেন। জার্মান পণ্ডিত Dr. Karl Optizy তার Die Medizin Im Koran গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, কোরআনের ১১৪টি সুরার মধ্যে ৯৭টি সুরায় ৩৫৫ আয়াতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিষয়ে উল্লেখ আছে। প্রখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী Hartwig Hirschfield তাঁর New Researches in to the Composition and Exegesis of the Quran গ্রন্থে চমৎকারভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, We must not be surprised to find the Quran regarded as the fountain head of all sciences. (অর্থাৎ কোরআন সব বিজ্ঞানের প্রধান উৎস)।
আল-কোরআনের সুরা মায়েদার ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করল, সে গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করল...।’
দেড় হাজার বছর আগের আল্লাহর এই বাণীর সত্যতা আমরা এখনো প্রতিনিয়ত অনুধাবন করছি। বর্তমান কভিড-১৯-এর ক্রান্তিকালে দুনিয়ার চিকিৎসাকর্মীদের নিরলস সেবার মধ্য দিয়ে এই অমোঘ বাণীর প্রতিধ্বনি আমরা প্রতিমুহূর্তে টের পাচ্ছি। করোনা মহামারি থেকে মানবজাতিকে বাঁচতে এবং বাঁচাতে গোটা বিশ্বের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা যে কঠোর পরিশ্রম এবং সাধনা করছেন, তা এর আগে এতটা দেখা যায়নি। মানবতাকে বাঁচাতে ওষুধবিজ্ঞানের প্রয়াসে সাম্প্রতিক সময়ে টিকা আবিষ্কার মানুষের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি, প্রসার ও মানুষের জীবন রক্ষার জন্য ওষুধ আবিষ্কারের পেছনে নিঃসন্দেহে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আছে অনন্য অবদান। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভিত্তি রচনায় মুসলিম বিজ্ঞানীরা যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। বর্তমান চিকিৎসাব্যবস্থার আবিষ্কার, রোগীসেবার নিয়ম-পদ্ধতি প্রণয়ন, হাসপাতাল এবং ফার্মেসি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের অপরিসীম অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন, যেমন—চর্মরোগ, গলার রোগ এবং ঘুমজনিত অসুস্থতা নিরসনে অনন্য অবদান রেখেছেন মুসলিম বিজ্ঞানীরা। আল রাজি (৮৪১-৯২৬) নবম শতকের চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিস্ময়কর নাম। তিনি মোট ৩৫ বছর চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। রাজি চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কে ১১৭টি গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি হাম, শিশুরোগ সম্পর্কে নতুন মতবাদ প্রবর্তন করেন। আল-রাজি স্নায়ু-দুর্বলতা, মানসিক রোগ, পক্ষাঘাত চিকিৎসার ধারণা প্রদান করেন। ইবনে জহুর (১০৯৪-১১৬৩) গ্যাস্ট্রিক টিউবের মাধ্যমে কৃত্রিম খাবারের যে ব্যবস্থাপদ্ধতি আবিষ্কার করেন, তার আজও বহুলভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ইবনে আল-নাফিস (১২১২-১২৮৮) প্রথম বিজ্ঞানী, যিনি ফুসফুসসংক্রান্ত রোগের নিরাময়পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা মুখে অনুভূতিবিলোপকারী (চেতনানাশক) পদ্ধতির ধারণা দিয়েছিলেন। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কানুন’ চিকিৎসাবিজ্ঞানের বাইবেল নামে খ্যাত। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের অনুসরণীয় চিকিৎসাবিদ্যার এই গ্রন্থে তিনি মাথাধরা, মৃগী, অবশতা, চোখ, কান, নাক, গলা এবং দাঁতের অসুখ, হূিপণ্ড এবং ফুসফুসের রোগ, পেট, অন্ত্র, যকৃৎ, পিত্ত ও প্লিহার রোগ, জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া প্রভৃতি রোগের প্রতিকারের পদ্ধতির বিশদ বর্ণনা করেন। আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার সবচেয়ে পরিচিত বিজ্ঞানীর নাম আলী ইবনে আব্বাস (৯৩৬-১০১৩)। এই আন্দালুসিয়ান-আরব চিকিৎসাবিদ এবং বিজ্ঞানীকে ‘আধুনিক শল্যচিকিৎসার জনক’ বলা হয়। তিনি একজিমা, পাঁচড়া, মেছতা, গোদ, কুষ্ঠ, বসন্ত ও যৌনবিষয়ক রোগের কারণ ও প্রতিকার বিশদভাবে বর্ণনা করেন। এ ছাড়াও অনেক মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানী আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এদের কয়েকজন হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান, আল-বাতরিক (মৃ-৭৯৬), আলী ইবনে রাব্বান, আবুল হাসান আত-তারাবি, হাসান ইবনে নুহ, ইসমাইল আল-জুরজানি, ইবনে রুশদ, হুনায়েন ইবনে ইসহাক (৮০৯-৮৭৭), সাবেত বিন কুরা (মৃত্যু-২৮৮ হিজরি) প্রমুখ।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা : মুসলিম বিজ্ঞানীরা চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন, রোগ নির্ণয়, গবেষণা এবং গ্রন্থ রচনার মধ্যেই সীমিত ছিলেন না। তারা সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণেও অসাধারণ অবদান রাখেন। মহানবী (সা.) প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে নিরাপদ স্থানে চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখতেন। মসজিদে নববীর আঙিনায়ও রোগীর চিকিৎসা এবং সেবার ব্যবস্থা ছিল। উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ান অনেক ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীকালে ইসলামী শাসনের সময় বাগদাদ, কর্ডোভা, দামেস্ক ও কায়রোর বিভিন্ন স্থানে হাসপাতাল নির্মিত হয়। ইসলামী যুগে হাসপাতালের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে পশ্চিমা পণ্ডিত ড. ডানল্ড ক্যাম্বল বলেন, ‘একমাত্র কর্ডোভায় ইসলামী শাসনামলে ৫০০ চিকিৎসাকেন্দ্র ছিল। মুসলিম শাসনামলে ভারতবর্ষেও অনেক আধুনিক হাসপাতাল ছিল। বাগদাদ নগরীতে আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন খলিফা আফদুদ্দৌলাহ। এর পরিচালক ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানী আল রাজি (৮৪১-৯২৬)। এসব হাসপাতালে রোগীদের ওষুধ ও খাবার বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হতো। সাদা ধবধবে রেশমি বস্ত্র আচ্ছাদিত মনোরম পরিবেশে হাসপাতালের শয্যাগুলো থরে থরে সাজানো থাকত। প্রতিটি কক্ষে প্রবহমান বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা ছিল। গোসলখানাতে রোগীদের প্রয়োজনীয় ঠাণ্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা থাকত। রোগীদের দেওয়া হতো জীবাণুমুক্ত পরিষ্কার পরিধেয় এবং তোয়ালে। কায়রো নগরীতে ‘মানসুর কালাউন’ হাসপাতাল ছিল জগদ্বিখ্যাত। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ইবনে নাফিস, ইবনে আবি উসাইবা, ইবনে রিদওয়ান প্রমুখ পণ্ডিতরা ছিলেন এই হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক। ফার্মেসি প্রতিষ্ঠায়ও মুসলমানদের ভূমিকা ছিল অগ্রগামী।
সত্যিকার অর্থে বিজ্ঞানের অবদানের ক্ষেত্রে ইসলামের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য। এ জন্যই হয়তো বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন, `Science without religion is lame and religion without science is blind’.
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- মুড়ি খেলে কি ওজন কমে?
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা- প্রধানমন্ত্রী
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা অর্থনীতি
- জন্মদিন উদযাপিত: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
- প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ
- বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা
- পণ্য মজুতের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সাড়ে ৩ লাখ
- ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তাব, বিশেষজ্ঞদের ‘না’
- মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে ব্লাড সুগার? জেনে নিন কারণ
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল
- গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরো একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১১
- ইইউতে জিএসপি সুবিধা বাড়াতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
- সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- সেহেরিতে খেতে পারেন যেসব খাবার
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অরুন্ধতী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বিএনপির কাজই ষড়যন্ত্র করা: রেলমন্ত্রী
- গাজা যুদ্ধে ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল: ইইউ
- আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছে ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরেছেন পলক
- দুপুরের মধ্যে ৪ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়-বৃষ্টি
- আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে মাদকসহ কারবারি আটক
- পেঁয়াজের দাম কমছে
- সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব
- আসন্ন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে দুঃসংবাদ
- জনপ্রিয় মার্কিন র্যাপার লিল জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
- সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল রংপুর
- যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে’
- ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তহবিল যোগানের বিকল্প নেই’
- রাবি ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
- ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক বীজবৃক্ষ সমূলে তুলে ফেলব’
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
- সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বিএনপি
- পোস্তগোলা সেতু সংস্কার কাজ শুরু, যানজট এড়াতে পরামর্শ
- আবারও বিয়ে করতে যাচ্ছেন গায়ক অনুপম রায়
- ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হৃদয়
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- আলোচনার মাধ্যমে ১১৭ বিজিপিকে ফেরানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশকে আইজিপির নির্দেশ
- নতুন দামে সয়াবিন তেল মিলবে যেদিন থেকে
- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ সরকারের
- এমআরটি-১ প্রকল্প বাস্তবায়নে পাতাল রেল যুগে পৌঁছাবে দেশ
- সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন: ডা. দীপু মনি
- মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে ব্লাড সুগার? জেনে নিন কারণ