• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইউক্যালিপ্টাসে পরিবেশের হুমকি

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮  

রংপুর বিভাগে ইউক্যালিপ্টাস গাছের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা জেলায় ইউক্যালিপটাস গাছের সংখ্যা বেশি বলে জানান রংপুর বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

রোববার বিকেলে এক সেমিনারে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ইউক্যালিপ্টাস গাছ ভূগর্ভস্থ পানি বেশি শোষণ করে। ফলে প্রতিনিয়ত পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ে রোর মৌসুমে। এই গাছ ১০-১২ ফুট নিচ থেকে পানি শোষণ করে। এর আশে পাশে অন্য গাছ বা ফসল জন্মাতে পারে না।

এর পাতা ও রেণু মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। পাখি বাসা বাধতে পারে না। একটি পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ ২৪ ঘন্টায় ৯০ লিটার পানি শোষণ করে মাটিকে শুষ্ক করে তোলে। এ গাছ লাগানোর ২০-৩০ বছর পর, পাশাপাশি অন্য গাছ জন্মাতে পারে না। অতিরিক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। পাতা সহজে পচে মাটিতে মিশে না।পুকুরের পানি দূষণ করে। ইউক্যালিপটাস এর মাধ্যমে দাবানল সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকট। মাটির গভীরে সর্বোচ্চ ৩০-৩৬ ফুট পর্যন্ত যায়। রংপুর বিভাগীর বন কর্মতর্কা রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, সরকারি কোন বাগানে ইউক্যালিপটাস গাছের চারা করা হয় না । কিছু বেসরকারি বাগান মালিক এই ক্ষতিকারক গাছেল চারা তৈরি করে থাকে । ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার উচিত। কিন্ত তা করা হচ্ছে না।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –