• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুবিতে নয় শব্দের গল্প

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

'বৃদ্ধা হয়েছি, নির্বোধ হইনি, অনুভূতির মৃত্যু হয়নি, তবুও বৃদ্ধাশ্রমে'। 'নয় শব্দের গল্প' শিরোনামে গল্প প্রদর্শন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন 'অনুস্বার, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়' এর অনুষ্ঠানে দেখা যায় গল্পটি।

আসমা আক্তার মুক্তা'র নয় শব্দের গল্পটি এমনই। তিনি পড়েন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচে। এছাড়াও আয়োজন করা হয়েছে বই দিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীও।

সোমবার 'গল্প ছবির আয়োজন-২০১৮' নামে কুবি'র মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা নাহিদ, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ এনামূল হক।

 

1.কুবিতে নয় শব্দের গল্প

ড. জি.এম. মনিরুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, নয় শব্দের চুম্বকীয় লাইন। অসাধারণ মেধার পরিচয় বহন করে। ক্যাম্পাসে এই ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৃদ্ধি হোক সমাজ সংস্কার চেতনা।

নাহিদা নাহিদ বলেন, অনুস্বারের স্বল্পপরিসরে নান্দনিক আয়োজনে আমি মুগ্ধ। সাফল্য কামনা করছি এ সংগঠনটির অগ্রযাত্রার আয়োজনে।

আলোচনা শেষে সেরা প্রতিযোগীদের নাম ঘোষনা ও পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।

আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ তম ব্যাচের, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা নিঝুম; দ্বিতীয় হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের,পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুল আবিদ খাঁন রিফাত।

'নয় শব্দের গল্প' তে প্রথম হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী, আইসিটি বিভাগের মাসুদ পারভেজ সবুজ; দ্বিতীয় হয়েছেন মোঃ ফয়সাল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

 

2.কুবিতে নয় শব্দের গল্প

আয়োজনটি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন; আইন অনুষদের ডিন ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ; ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আকবর হোসেন; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক সিমু দেসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন বলেন, অনেক সুন্দর উদ্যোগ। অংশগ্রহনকারী ও আয়োজকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।

সিমু দে বলেন, একদমই ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন। ভবিষ্যৎ- এ আরো বেশি কিছু আশা করতে কোনো সংশয় নেই মনে।

অনুষ্ঠান নিয়ে সংগঠনটির সভাপতি শতাব্দী জুবায়ের বলেন, এমন ধরনের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম। আলোকচিত্র এবং গল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মননশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সাড়াও প্রশংসাজনক। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –